মাদ্রিদ: ২০১৮ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে শেষবার মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। গোলকিপিং দস্তানা হাতে তেকাঠির নীচে লরিস ক্যারিয়াসের ক্ষমার অযোগ্য ভুল সঙ্গে গ্যারেথ বেলের ওভারহেড কিকে সেবার স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল রেডস’দের। টানা তিনবার এবং মোট ১৩বারের জন্য ইউরোপ সেরার শিরোপা ছিনিয়ে নিয়েছিল জিনেদিন জিদানের রিয়াল মাদ্রিদ। গুরুত্বপূর্ণ আরও একটি বিষয় জুড়ে ছিল ২০১৮ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের সঙ্গে।
ওই মরশুমে লিভারপুলের জার্সিতে ৪৪ গোল করে স্বপ্নের ফর্মে থাকা মোহামেদ সালাহকে প্রথমার্ধেই মাঠ ছাড়তে হয়েছিল সার্জিও র্যামোসের কড়া চ্যালেঞ্জে। পরে জানা যায় কাঁধের হাড় সরেছে মিশরীয় স্ট্রাইকারের। ওই ঘটনার জন্য হয়তো আজও স্প্যানিশ ডিফেন্ডারকে ক্ষমা করতে পারেননি জুর্গেন ক্লপ। তবে এত কিছুর পরেও মঙ্গলবার চলতি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টারে রিয়ালের বিরুদ্ধে ম্যাচকে বদলার চোখে দেখতে নারাজ জুর্গেন ক্লপ।
রিয়ালের বিরুদ্ধে নামার আগেরদিন সাংবাদিক সম্মেলনে তিন বছর আগের প্রসঙ্গ উঠতেই ক্লপ জানালেন, ‘সেই রাতে যা হয়েছিল সেটা ঠিক হয়নি। আমাদের জন্য একটা খারাপ রাত ছিল ওটা। তবে তারপর অনেকটা সময় পেরিয়ে গিয়েছে। আমরা চাই না সেই রাতের অনুভূতি কিংবা রাগের পুনরায় বহিঃপ্রকাশগুলো হোক। আমি শুধু আমার দলকে তৈরি করতে চাই আগামীকালের ম্যাচের জন্য। ওদের দেখিয়ে দিতে চাই আমরা কতোটা ভালো ফুটবল উপহার দিতে পারি।’ উল্লেখ্য সেই রাতে পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ক্লপের দলের প্রত্যাবর্তনটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। পরের বছরেই অর্থাৎ, ২০১৯ টটেনহ্যামকে হারিয়ে দীর্ঘ ১৪ বছর বাদে ইউরোপ সেরা হয়েছিল রেডস’রা। এরপর ২০২০ তিন দশক বাদে প্রিমিয়র লিগ জয়।
তাই বেনজেমাদের বিরুদ্ধে নামার আগে ২০১৮ ফাইনাল প্রসঙ্গে ক্লপ বলছেন, ‘তারপর থেকে অনেক ঘটনা ঘটে গিয়েছে। আমরা আমাদের জায়গায় ঠিক আছি। তবে এটুকু জানি যে কঠিন প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হতে চলেছি আমরা। আমার কানে এসেছে সবাই নাকি বলাবলি করছে রিয়াল মাদ্রিদ ফেভারিট। ওরা ওই ভূমিকাতেই অভ্যস্ত, তবে আমাদের চ্যালেঞ্জার হতে কোনও সমস্যা নেই।’
এদিকে কোয়ার্টারের প্রথম লেগে নামার আগে জুর্গেন ক্লপকে প্রশংসায় ভরিয়েছেন রিয়াল কোচ জিনেদিন জিদান। একইসঙ্গে লিভারপুলকে ‘পূর্ণাঙ্গ দল’ আখ্যা দিয়েছেন জিজৌ। আর নিজের দল নিয়ে তাঁর ব্যাখ্যা চলতি মরশুমে রিয়ালকে নিয়ে অহেতুক সমালোচনা হচ্ছে। তাই দলের পাশে থাকার অনুরোধ করেছেন দু’বারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী কোচ।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.