কলকাতা: দফায় দফায় অশান্তির খবরে দিনভর সরগরম থাকল পশ্চিমবঙ্গ ভোটের তৃতীয় দফা। শাসক দল থেকে শুরু করে বিরোধী, সকলেই একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে। একাধিক জেলায় এলাকায় ঘটনা অথবা সংঘর্ষের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এরমধ্যে নজর কেড়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার বিষ্ণুপুরের ঘটনা। সেখানে এই মহিলাকে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে এক তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। গোটা ঘটনায় সরব হয়ে কমিশনে ভিডিও ফুটেজ জমা দেয় সিপিআইএম।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ভোট দিতে যাওয়ার সময় মধ্যবয়সী ওই মহিলার রাস্তা আটকে দাঁড়ান এক যুবক। সেই যুবক মহিলাকে ভোট দিতে যেতে বারণ করেন। পালটা মহিলা বলেন, কেন যাবো না? সাফ ওই যুবক জানায়, ‘তোকে বলছি ভোট দিতে যাবি না, তাই যাবি না।’ কিন্তু মহিলা রীতিমতো নাছোড়বান্দা। পালটা জিজ্ঞাসা করেন, গেলে কী করবি। ওই যুবক বলেন, ‘দেখিস কী করি! ভোটটা শেষ হোক। তোকে বলছি চলে যেতে, তুই চলে যা।’ কিন্তু দমার পাত্র না মহিলাও। তিনি জানান, তিনি ভোট দিতে যাবেনই।
এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। প্রথমে গোটা ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় কমিশন। তদন্তে দেখা যায় ওই যুবকের নাম গৌরাঙ্গ মাখাল। সে এলাকায় তৃণমূল কর্মী বলেই পরিচিত। তাঁকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে জানা গিয়েছে।
গোটা ঘটনায় একদিকে যেমন মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, তেমনই কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও বড়সড় প্রশ্ন উঠেছে। যে কারণে ৮ দফা ভোটের আয়োজন। বিস্তর আগে থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুট-মার্চ, তার নির্যাস ফলাফল তাহলে কী দাঁড়াল? যদি একজন মহিলা প্রার্থীকে ভোট দিতে গিয়ে এমন হুমকির মুখে পড়তে হয়। ঘটনায় অস্বস্তি বেড়েছে শাসক দলেরও। কারণ তাঁরা যখন শান্তিপূর্ণ ভোটের দাবি করছেন, সেখানে তাঁদের দলের কর্মীর দিকেই অভিযোগ উঠেছে।
সব দলের তরফেই মানুষের জন্য কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনী প্রচার করেছেন প্রার্থীরা। নির্বাচন কমিশনও ১৪৪ ধারা জারি করে নির্বাচন পরিচালনা করেছে। ৮ দফায় নির্বাচন করে কমিশন শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট করার জন্য দক্ষিণ ২৪ পরগনাকে ৩ ভাগে ভাগ করেছে, তারপরেও কেন অশান্তিতে লাগাম টানা সম্ভব হচ্ছে না, তাই নিয়ে সরব হয়েছেন সকলে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.