কলকাতা: জনতার রায় যেখানে থাকে সেই অতি মহার্ঘ্য বস্তু অর্থাৎ ইভিএম থাকার কথা পূর্ণ নিরাপত্তা ভোট কর্মীদের সঙ্গে। কিন্তু থাকছে কখনো ভাজপা নেতার গাড়িতে, কখনও টিএমসি নেতার বাড়িতে।
ইভিএম তুমি কি পথ হারাইয়াছ? নীরব যন্ত্রের কোনও ক্ষমতাই নেই এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার। সে মানুষের দাস। তবে তার পেটে লুকিয়ে আছে লক্ষ লক্ষ মানুষের আশা-ভরসা, গ্রণতন্ত্রের রায়।
প্রতিবেশী দুই রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ ও অসমে ইভিএম তার সরকারি ঠিকানা ভুলেছে! অসমে দ্বিতীয় দফার ভোটের পর করিমগঞ্জ জেলার পাথারকান্দি কেন্দ্রের কিছু ইভিএম সেখানকার বিজেপি প্রার্থী কৃষ্ণেন্দু পালের গাড়িতে মিলেছিল। ভিডিও ভাইরাল হতেই প্রবল উত্তেজনা। বিজেপির বিরুদ্ধে ইভিএম লুঠের অভিযোগে সরগরম হয় গোটা দেশ। গাড়িটির সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের কোনও আধিকারিক ছিলেন না। গাড়ির মধ্যে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তাকর্মী ছিলেন না। তীব্র বিতর্কের মাঝে উত্তেজনা থামাতে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে।
চারদিন আগের এই ঘটনার জেরে পশ্চিমবঙ্গেও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। এ রাজ্যে শাসক তৃণমূল কংগ্রেস ও বিরোধী সংযুক্ত মোর্চার তরফে বিজেপির প্রতি কটাক্ষের বন্যা বইয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি ঘুরে গিয়ে এখন ইভিএম চাপে তৃণমূল কংগ্রেস। সোমবার রাত থেকে সরগরম হাওড়ার উলুবেড়িয়া।
উলুবেড়িয়ায় স্থানীয় তৃণমূল নেতার বাড়িতে ইভিএম মিলেছে এই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই ফের বিতর্কে নির্বাচন কমিশনের নিরাপত্তা। রাতেই গ্রামবাসীরা ওই নেতার বাড়ি ঘেরাও করেন। রাতেই যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেক্টর অফিসারকে সাসপেন্ড করেছে কমিশন।
অভিযোগ, উলুবেড়িয়ার তুলসীবেড়িয়ায় স্থানীয় তৃণমূল নেতার বাড়িতে কেন স্থানীয় বুথ অফিসার মেশিন বুথে না নিয়ে গিয়ে তৃণমূল নেতার বাড়িতে নিয়ে যান? এই প্রশ্নে বিব্রত তৃণমূল।
ইভিএমের এই বারবার সরকারি ঠিকানা বদলে বেসরকারি ঠিকানায় পৌঁছে যাওয়া রীতিমতো চাঞ্চল্যকর বলেই মনে করা হচ্ছে। অসমে ও বঙ্গে একই ছবির ভিন্ন দলীয় রূপ। কোথাও বিজেপি কোথাও টিএমসি। এ রাজ্যে বিরোধী সংযুক্ত মোর্চার কটাক্ষ টিএমসি ও বিজেপির পার্থক্য কী? দুটোই তো পারস্পরিক আসা যাওয়ার দল।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।