নয়াদিল্লি: দেশে বিদ্যুতের গতিতে বাড়ছে সংক্রমণ। করোনাকে ঠেকাতে টিকাকরণ কর্মসূচির উপর জোর দেওয়া হয়েছে। তবে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে এখনও মানুষের মনে দ্বিধা রয়েছে। এহেনপরিস্থিতিতে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ঠিক কতটা তা নিয়ে স্পষ্ট জানালেন সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া-র প্রধান কার্যনির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আদার পুনাওয়ালা। তিনি এদিন জানান কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ৯০ শতাংশে বৃদ্ধি পাবে যদি প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের মাঝের ব্যবধান ২ থেকে ৩ মাস হয়।

এ বছরের শুরুর দিকে প্রকাশিত ‘দ্য ল্যানসেট’-এর একটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছিল যে, অস্ট্রফোর্ড ইউনিভার্সিটির সহায়তায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ভ্যাকসিনের দুটি ডোজের মধ্যে এক মাসের ব্যবধান থাকলে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ৭০ শতাংশ। আদার পুনাওয়ালা বলেছিলেন যে, এক মাসের ব্যবধানে ডোজ দেওয়ার সময় ভ্যাকসিনটি ৭০ শতাংশ প্রভাব ফেলে। তিনি এটাও বলেছিলেন যে, প্রায় এক হাজার লোকের উপরে একটি গবেষণা করা হয়েছিল, যাদের ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ দেওয়া হয়েছিল।এর মধ্যে আরও একটি পরীক্ষা হয় যেখানে , দুটি ডোজের ব্যবধান ছিল ২-৩ মাস। সেই গবেষণার ফলাফলে দেখা গিয়েছে, যদি ভ্যাকসিনের ডোজ ২-৩ মাসের ব্যবধানে লোককে দেওয়া হয় তবে এর কার্যকারিতা ৯০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।

পুনাওয়ালা আরও বলেছিলেন যে, আপনি যদি অন্য ভ্যাকসিনগুলিও দেখে থাকেন তবে সেখানে দুটি ডোজের মধ্যে দীর্ঘ ব্যবধান দেওয়া হয়।ভ্যাকসিন ডোজের মধ্যে যত বেশি ফাঁক দেওয়া হয়, ততই টিকার প্রভাব মানুষের উপর পড়বে।

উল্লেখ্য, গত মাসে জাতীয় বিশেষজ্ঞ দলের সুপারিশে সরকার কোভিশিল্ডের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের মধ্যে ব্যবধান আট সপ্তাহ বাড়ানোর কথা বলেছিল।তবে এই ব্যবধান যেন আট মাসের থেকে বেশি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে বলেছিল।

অন্যান্য দেশের পরিচালিত গবেষণাগুলোতে দেখা গিয়েছে, করোনা ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা তখনই বৃদ্ধি পাবে যখন দুটো ডোজের মধ্যে ব্যবধান ৬ সপ্তাহ হবে। পুনাওয়ালা আরও বলেছিলেন যে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণের এক মাস পরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তিনি আরও বলেছেন যে, করোনার ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের পরেও মানুষের মাস্ক ব্যবহার করা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।