কলকাতা: মঙ্গলবার রাজ্যে তৃতীয় দফায় নির্বাচন হয়ে গিয়েছে হাওড়া, হুগলি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ৩১টি কেন্দ্রে। তিন জেলা থেকেই এদিন পাহাড়-প্রমাণ অভিযোগ এসেছে নির্বাচন কমিশনের কাছে। তৃতীয় দফার নির্বাচনে সন্ধে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের কাছে ১,৮০২টি অভিযোগ জমা পড়েছে। তবে সেই সব অভিযোগের প্রেক্ষিতে গ্রেফতারের সংখ্যা মাত্র ১১।
দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে রাজ্যে ১৬০০-র বেশি অভিযোগ পেয়েছিল কমিশন। সেক্ষেত্রে গ্রেফতার করা হয়েছিল ২৮ জনকে। তবে মঙ্গলবার রাজ্যের তিন জেলার ৩১টি কেন্দ্র থেকে ভুরি-ভুরি অভিযোগ এসে জমা পড়ে নির্বাচন কমিশনের দফতরে। এদিন পাঁচ প্রার্থী ‘আক্রান্ত’ হয়েছেন বলে অভিযোগ। মার খেয়েছেন, মাথা ফেটেছে এমন রাজনৈতিক কর্মীর সংখ্যাও নেহাত কম নয়।
প্রায় সব দলের কর্মীরাই একে অপরের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মাথা ফেটে এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বেশ কয়েকজন। তিন জেলার একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে কোথাও প্রার্থীকে বাঁশ নিয়ে তেড়ে গিয়ে মার, কোথাও এজেন্টকে মারধর, গাড়ি ভাঙচুর, বোমাবাজিরও অভিযোগ এসেছে। তৃতীয় দফার নির্বাচনে এদিন সন্ধে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের কাছে মোট ১৮০২টি অভিযোগ জমা পড়েছে। তবে গ্রেফতার হয়েছেন মাত্র ১১ জন।
ভোটে হিংসা এড়াতে নির্বাচন কমিশনের তৎপরতা নিয়ে এদিনও প্রশ্ন উঠেছে। নির্বাচনকে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে প্রতিটি জায়গায় পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকছে। এরই পাশাপাশি রয়েছে রাজ্য পুলিশ। তবুও হিংসা এড়ানো যাচ্ছে না। বঙ্গ-ভোটে রক্ত ঝরছেই।
শাসক-বিরোধী সব পক্ষই আক্রান্ত হচ্ছেন। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, তৃতীয় দফার ভোটে ১,৮০২টি অভিযোগ কমিশনের কাছে জমা পড়েছে। সি ভিজিল অ্যাপের মাধ্যমে ১৯৯টি, এনজিএসের মাধ্যমে ১,৩৪৭টি এবং সিএমএসের মাধ্যমে ২৫৬ টি অভিযোগ জমা পড়েছে কমিশনের দফতরে। গন্ডগোলের অভিযোগে মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বঙ্গ ভোট এবার আট দফায়। মঙ্গলবার পর্যন্ত তৃতীয় দফার ভোট শেষ হল রাজ্যে। এখনও বাকি পাঁচ দফার ভোট। নির্বাচনের আগামী পর্বগুলিতে অশান্তি এড়াতে কমিশন আরও কী কী পদক্ষেপ করে এখন সেটাই দেখার।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.