শিবপ্রিয় দাশগুপ্ত : ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে নানান রঙের সমাবেশ। সবুজ ছেড়ে গেরুয়াতে যোগ দিয়েছেন বহু তৃণমূলের তাবড় নেতানেত্রী। এদের মধ্যে অনেকে প্রার্থী হয়েছেন, অনেককে প্রার্থী করা হয়নি। তবে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে এসে এমনই কিছু প্রাক্তন তৃণমূল নেতানেত্রী প্রার্থী হতে না পারলেও শেষ পর্যন্ত দলীয় পদ পেলেন। এমনই তিন প্রাক্তন তৃণমূল নেতানেত্রীকে বিজেপি-র রাজ্য কমিটিতে স্থায়ী আমন্ত্রিত সদস্য হিসেবে নেওয়া হয়েছে। এরা হলেন, সোনালি গুহ, শীতল সর্দার ও দীপেন্দু বিশ্বাস। এরা প্রার্থী হতে না পেরে তৃণমূল ছেড়েছেন। প্রার্থী হতে না পাড়ার জন্য ক্ষোভ, অভিমানে দল ছেড়েছিলেন এই তৃণমূলের বিধায়করা। তারপর তাঁরা রাজনৈতিক ট্রেন্ড মেনে যোগ দিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে। তবে বিধি বাম হওয়ায় বিজেপিতেও তাঁদের প্রার্থীপদ মেলেনি। কিন্তু বিজেপি তাঁদের খালি হাতে ফেরেনি। তৃণমূল ছেড়ে আসা বিধায়ক সোনালি গুহ, শীতল সর্দার, দীপেন্দু বিশ্বাসদের জন্য বিজেপি-র স্বান্তনা পুরস্কার ঘোষণা করেছে। এই তিনজনকে বিজেপি-র রাজ্য কমিটির স্থায়ী আমন্ত্রিত সদস্য করা হয়েছে।
অতীত ঘাটলে দেখা যাবে একমাত্রই দীপেন্দু বিশ্বাস বাদে সোনালি গুহ, জটু লাহিড়ী, শীতল সর্দার, এরা সবাই বার বার তৃণমূলের প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে লড়ে বিধায়ক হয়েছেন। এর মধ্যে জটু লাহিড়ী ২ বার কংগ্রেসের প্রতীকে ও তিনবার তৃণমূলের প্রতীকে বিধায়ক হয়েছেন। শীতল সর্দারের রাজনৈতিক দিকটাও প্রায় একই রকম। আর সোনালি গুহ ২০০১ সাল থেকে সাতগাছিয়া কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক হয়ে আসছেন। এই কেন্দ্রে আগে জ্যোতি বসু প্রার্থী হতেন। এই সোনালি গুহ ছিলেন মমতার ছায়াসঙ্গী। একুশের ভোটে সাতগাছিয়া থেকে তাঁকে প্রার্থী পদ না দেওয়ায় সোনালি গুহ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ৩০ বছরের সম্পর্ক ছেদ টেনে বিজেপিতে চলে যান। সেই সুযোগে মমতার অতি ঘনিষ্ঠ নেত্রী সোনালি গুহকে দলে স্বাগত জানাতে কালক্ষেপ করেনি বিজেপি। তবে বিজেপির প্রার্থী হয়ে ভোটে লড়াইয়ের সুযোগও দেওয়া হয়নি এই তিনজনের একজনকেও। তাই তাঁদের ক্ষতে প্রলেপ দেওয়া হলো রাজ্য কমিটির স্থায়ী আমন্ত্রিত সদস্য করে। বিধানসভা নির্বাচনে সোনালি গুহরা কিন্তু তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থীদের হয়ে প্রচার করছেন জোরকদমে।
স্বভাবতই বিজেপির রাজ্য কমিটির স্থায়ী আমন্ত্রিত সদস্য হয়ে সোনালি,দীপেন্দু, শীতলরা খুশি। সোনালি গুহ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়ে বরাবরই বলেছেন, “আমার পদ চাই না, সম্মান চাই, ভালভাবে কাজের সুযোগ চাই।” সেই সম্মান তিনি পেয়েছেন বলে তাঁর দাবি।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.