রাইপুর: মাওবাদীদের শেষ না করা পর্যন্ত, এই লড়াই থামবে না, শহিদদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের পর রীতিমতন হুমকির সুরে মাওবাদীদের সতর্ক করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সোমবার, ছত্তিশগড়ের বস্তারে জগদলপুরে মাওবাদীদের গুলিতে শহিদ ২২ জওয়ানকে শ্রদ্ধা জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেশ বাঘেল, পুলিশ ও সিআরপিএফের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। পরে সবাইকে নিয়ে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকও সারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
বৈঠকের পরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, “গত বেশ কয়েকবছর ধরেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে দেশ। তা এবার আরও জোরদার করা হবে। দেশে শান্তি বজায় রাখতে ও দেশবাসীকে সুরক্ষিত রাখতে যে জওয়ানরা শহিদ হলেন, তাঁদেরকে গোটা দেশ সম্মান জানাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্র সরকারের তরফে আমিও তাঁদের স্যালুট করছি। এই আত্মবলিদানকে আমরা ব্যর্থ হতে দেব না। মাওবাদী দমনে আমাদের লড়াই তীব্র থেকে তীব্রতর হবে। যতদিন না মাওবাদীরা এই দেশ থেকে শেষ হচ্ছে, ততদিন আমরা শান্তি পাব না। এই ঘটনায় জওয়ানদের মনোবলে চিড় ধরতে দেব না আমরা। মাওবাদীদের চূড়ান্ত পরিণতি এবার ঘনিয়ে এসেছে।”
বিজাপুরের সুকমাতে মাওবাদীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে ২২ জওয়ান শহীদ হওয়ার খবরে নির্বাচনী প্রচার বাতিল করে দিল্লি ফিরে যান। মাওবাদী দমনে উচ্চস্তরীয় স্তরের বৈঠক সারেন। তারপর সোমবার তিনি ছত্তিশগড়ে আসেন। জাতীয় পতাকা মোড়া শহিদ কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তারপর রাইপুরে আহত জওয়ানদের সঙ্গে দেখা করেন। জওয়ানদের মনবল বাড়াতে তাদের সাথে কিছুক্ষন কথাও বলেন। মাওবাদী দমনে কতটা তৎপর রাজ্য সে নিয়েও ছত্তিশগড় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেশ বাঘেলের সঙ্গেও কথা বলেন।
মূলত শনিবার ছত্তিসগড়ের নকশাল অধ্যুষিত অঞ্চলে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছিল প্রায় ২০০০ নিরাপত্তারক্ষী৷ আচমকা নকশালরা গুলি চালাতে শুরু করে৷ মাওবাদীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে শহিদ হয় ২২ জওয়ান৷ আরও ২৩ জনকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.