চেন্নাই: ভোটের দিন শুরু হলো নতুন বিতর্ক।তামিলনাড়ুর প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জে জয়ললিতার অনুগামী ভি কে শশীকলা অভিযোগ করেন যে তাঁর নাম ভোটারদের তালিকা থেকে ‘সরানো’ হয়েছে।পুরো ঘটনায় চরম ক্ষুব্ধ শশীকলার অনুগামীরা।
তামিলনাড়ু বিধানসভার নির্বাচনের দিন গুরুতর অভিযোগ আনলেন জয়ললিতার অনুগামী ভি কে শশীকলা।তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমার নাম ইচ্ছাকৃতভাবে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটি অবিচার করা হচ্ছে। আমি আমার উকিলের সঙ্গে কথা বলেছি। এর বিরুদ্ধে আমি আইনসম্মত ব্যবস্থা নেব।শশীকলার পরামর্শদাতা এন রাজা সেন্থুর পান্ডিয়ান জানিয়েছেন যে, শশীকলার নামটি ২০১৯এর ৩১ শে জানুয়ারী ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল, সেই বছর লোকসভা নির্বাচনের আগে সংশোধন করা হয়েছিল। আমরা অবশ্যই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
ভোটার তালিকা থেকে শশীকলার নাম বাদ যাওয়াকে কেন্দ্র করে গোটা তামিলনাড়ু জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে । তাৎপর্যপূর্ণভাবে, জেলে যাওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার সঙ্গে তাঁর পোয়েস গার্ডেনের বাড়িতে থাকতেন শশীকলা। কিন্তু পরে সেই বাড়িটি অধিগ্রহণ করে নেওয়া হয়। এরফলে শশীকলার কোনও স্থায়ী ঠিকানা না থাকায় ভোটার তালিকায় নাম নেই শশীকলার, মনে করা হচ্ছে এমনটাই। কিন্তু এই নিয়ে শশীকলার অনুগামীরা জানাচ্ছেন, শশীকলার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
নির্বাচনের দিন ঘোষণা হতেই রাজনৈতিক মহলকে চমকে দিয়ে রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন ভিকে শশীকলা।ইস্তফাপত্রে শশীকলা লিখেছিলেন, ‘আমি কোনদিনই ক্ষমতা ও পদের পেছনে দৌঁড়ায়নি। জয়াদি যখন ছিলেন তখনও যে কাজ করিনি তা আজও করব না। আমি রাজনীতি ছাড়ছি। আমি প্রার্থনা করব যেন জয়ললিতার পার্টিই জেতে।’
মঙ্গলবার তামিলনাড়ুর ২৩৪টি আসনে নির্বাচন। সকাল ৯টা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট রাজ্যে ভোট পড়েছে ১৩.৮ শতাংশ। জয়ললিতা না থাকলেও এবারের ভোটেও ‘আম্মার ‘ আদর্শ সামনে রেখেই ভোটপ্রচারে নেমেছিল AIADMK। এবারের নির্বাচনে AIADMK লড়ছে ১৯১টি আসন থেকে এবং জোট সঙ্গী BJP লড়াই করছে ২০টি আসন থেকে। অন্যদিকে, DMK লড়বে ১৮৮ টি আসন থেকে এবং জোটসঙ্গী কংগ্রেস লড়বে ২৫টি আসন থেকে। এখনও পর্যন্ত ১০৫টি কেন্দ্রকে স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.