নয়াদিল্লি: দেশে ক্রমশ ভয় ধরাচ্ছে করোনা সংক্রমণের রেশ। যেভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তাতে সংক্রমণ রুখতে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত নাইট কার্ফু জারির সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করল দিল্লি সরকার। মঙ্গলবার অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রশাসনের তরফে রাজধানী শহরে আগামী ৩০ এপ্রিল অবধি রাত ১০ টা থেকে সকাল ৫টা পর্যন্ত নাইট কার্ফু লাগু থাকবে বলে এই মর্মে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।

তবে সংক্রমণ রুখতে আপাতত নাইট কার্ফুই জারি থাকবে। এখনই লকডাউন করা হবে কিনা সেই বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। অন্যদিকে গত শুক্রবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছিলেন, দিল্লিতে করোবার চতুর্থ ওয়েভ চলছে। পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে তাতে এক্ষুণি কোনও লকডাউন হবে কি না তা এখনও বিবেচনা করা হয়নি। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এই বিষয়ে দিল্লির বিজেপির মুখপাত্র খেমচাঁদ শর্মা জানিয়েছেন যে, পরিস্থিতি যা তাতে নাইট কারফিউ যথেষ্ট নয়। আপ সরকারের উচিত এই সময়ে রাজধানীর জনবহুল এলাকায় আরও বেশি করে কোভিড টেস্ট বাড়ানো। করোনা পরীক্ষায় গতি আনতে আরও বেশি করে স্বেচ্ছাসেবক, ভলেন্টিয়ার্স নিয়োগ করা। এমনকি অতি দ্রুতগতিতে টিকা প্রদানের ব্যবস্থা করা। তবে যদি কিছুটা কমে সংক্রমণের রেশ।

অন্যদিকে, সোমবার দেশের করোনাগ্রাফ পূর্বের সমস্ত রেকর্ড ভাঙলেও মঙ্গলবার স্বস্তি দিয়ে কিছুটা কমল সংক্রমণ। সোমবার সংক্রমণ ১ লক্ষ পার করেছিল। তবে মঙ্গলবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় দেশে প্রায় ৯৭ হাজার মানুষের শরীরে থাবা বসিয়েছে মারণ ভাইরাস করোনা। যা গত দিনের থেকে অনেকটাই কম। গত ২৪ ঘন্টায় করোনার বলি হয়েছে ৪৪৬ জন। মুম্বইতেও করোনার দৈনিক আক্রান্ত নামতে শুরু করেছে। এদিন মহারাষ্ট্রের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭ হাজারের ঘরে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।

কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজধানী দিল্লির করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। টানা চার মাসের রেকর্ড ভেঙে রবিবার দিল্লির করোনা সংক্রমণ ৪ হাজার পার করেছিল। পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত ২৪ ঘন্টায় দিল্লিতে কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৩ হাজার ৫৪৮ জন। মারণ ভাইরাসের কামড়ে মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। বর্তমানে দিল্লিতে এক্টিভ কেসের সংখ্যা ১৪ হাজার ৫৮৯।এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি গিয়েছে ২ হাজার ৯৩৬ জন।

ইতিমধ্যে মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব, ছত্তিশগড়ের মতো রাজ্যে কেন্দ্রের তরফে ৫০টি পাবলিক হেল্থ টিম পাঠিয়েছে কেন্দ্র। এই দলগুলি, মহারাষ্ট্রের ৩০ টি জেলায় পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবে। দলগুলি নজরে রাখবে কোভিড বিধি মেনে হাসপাতালগুলিতে বেড রয়েছে কী না। ভেন্টিলেটার থেকে অক্সিজেনের বন্দোবস্ত নিয়েও পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।