করোনা পরিস্থিতিতে অলিম্পিক্স থেকে সরে দাঁড়াল উত্তর কোরিয়া

বিশ্বজুড়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। করোনা-ভীতির কারণ দেখিয়ে টোকিও অলিম্পিক্স থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল উত্তর কোরিয়া। যার ফলে ধাক্কা খেল দক্ষিণ কোরিয়ার পরিকল্পনা।

১৯৮৮ সালে কোল্ড ওয়ারের কারণে সিওল অলিম্পিক্স বয়কট করেছিল উত্তর কোরিয়া। তারপর এই প্রথম কোনও অলিম্পিক গেমসে থাকছেন না উত্তর কোরিয়ার কোনও প্রতিযোগী। দুই দেশের শান্তি প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে এবং সম্পর্কের উন্নতি ঘটাতে অলিম্পিক্সে যৌথভাবে দল পাঠানোর আশাপ্রকাশ করেছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন। কিন্তু উত্তর কোরিয়ার এই সিদ্ধান্তে দক্ষিণ কোরিয়ার আরেকটি পরিকল্পনাও ধাক্কা খেল।

২০১৮ সালে উত্তর কোরিয়ার সর্বাধিনায়ক কিম জং উনের সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল মুনের। দুই দেশ সম্মত হয়েছিল ২০৩২ সালের অলিম্পিক্স আয়োজনে যৌথভাবে দাবি জানাবে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া। তবে উত্তর কোরিয়া অলিম্পিক্স থেকে সরে দাঁড়ানোয় সেই সম্ভাবনাও বিশ বাঁও জলে। ২০১৮ সালে পিওংচ্যাং শীতকালীন অলিম্পিক্সে দেশের অ্যাথলিটদের নেতৃত্ব দিতে তাঁর বোনকে পাঠিয়েছিলেন কিম। উদ্বোধনী অনু্ষ্ঠানে একই পতাকার তলায় সামিল হয়ে হেঁটেছিলেন দুই দেশের অ্যাথলিটরা। মহিলা হকিতে যৌথ দল নামানো হয়েছিল।

গত মাসে মিসাইল পরীক্ষা করে উত্তর কোরিয়া। তাতে উত্তেজনা বাড়লেও দুই দেশই জানিয়ে দিয়েছিল শান্তি আলোচনা অব্যাহত থাকবে। দুই দেশকে আরও কাছে নিতে টোকিও অলিম্পিক্স খুব ফলপ্রসূ ভূমিকা নেবে বলেও আশা ছিল। কিন্তু উত্তর কোরিয়ার অলিম্পিক কমিটি গত ২৫ মার্চ সে দেশের ক্রীড়ামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর চূড়ান্ত করে অলিম্পিক্স থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়টি। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে অ্যাথলিটদের রক্ষা করতেই এই পদক্ষেপ বলে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। উত্তর কোরিয়ায় কেউ করোনা সংক্রমিত নয় বলেও দাবি করা হয়েছে। কিম নিজে মার্কিন বাস্কেটবলের ভক্ত। পেশাদার খেলাধুলোকে এগিয়ে নিয়ে যেতে নিজের পরিকল্পনার কথাও প্রায়ই বলেন। জানা গিয়েছে, ২৫ মার্চের বৈঠকে দেশের ক্রীড়াক্ষেত্রকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা থেকে কীভাবে বেশি পদক জেতা যায় সে বিষয়ে আগামী পাঁচ বছরের পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

More TOKYO OLYMPICS 2020 News