মাদ্রিদ: চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে নামার ঠিক আগে রিয়াল মাদ্রিদ শিবিরে বড়সড় ধাক্কা। করোনা আক্রান্ত হলেন জিদানের দলের তারকা ডিফেন্ডার রাফায়েল ভারানে। স্বাভাবিকভাবেই লিভারপুলের মতো প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে শেষ আটের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে ফরাসি ডিফেন্ডারকে পাচ্ছে না লস ব্ল্যাঙ্কোসরা। শুধু তাই নয়, আগামী রবিবার লা লিগা এল ক্লাসিকোতেও এই ডিফেন্ডারের সার্ভিস পাবে না জিদানের দল।
লিভারপুলের বিরুদ্ধে কোয়ার্টারে নামার আগে মঙ্গলবার রিয়াল ফুটবলারদের করোনা পরীক্ষা করা হয়। সেখানেই রিপোর্ট পজিটিভ আসে ভারানের। ফলে দলের দুই প্রথম পছন্দের ডিফেন্ডারকে ছাড়াই লিভারপুলের বিরুদ্ধে মাঠে নামতে হবে রিয়ালকে। অধিনায়ক সার্জিও রামোসকেও চোটের কারণে এই ম্যাচে পাবে না তারা। যা অবস্থা, তাতে আগামী ১৪ এপ্রিল ফিরতি লেগেও একই সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে তারা।
ভারানের জন্য লিভারপুল ম্যাচের আগে আরও বিপাকে পড়েছেন জিদান। রামোস এবং ভারানের পরিবর্ত হিসেবে স্প্যানিশ ডিফেন্ডার ন্যাচো ফার্নান্দেজ এবং ব্রাজিলিয়ান এদের মিলিতাওকে ক্লপের দলের বিরুদ্ধে দুই সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার হিসেবে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রিয়ালের ফরাসি কোচ। উল্লেখ্য, ২০১৮ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের পর ফের ইউরোপ সেরার মঞ্চে মুখোমুখি দুই দল। ২০১৮ ফাইনালে রেডস’দের ৩-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে ১৩ বারের জন্য চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ক্যাবিনেটে তুলেছিল লস ব্ল্যাঙ্কোসরা।
সেদিক থেকে দেখতে গেলে চলতি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কোয়ার্টার ফাইনাল লিভারপুলের কাছে বদলার ম্যাচ। যদিও এই ম্যাচকে বদলার ম্যাচ হিসেবে দেখতে নারাজ জুর্গেন ক্লপ। ২০১৮ ফাইনালে মোহামেদ সালাহকে প্রথমার্ধেই মাঠ ছাড়তে হয়েছিল সার্জিও র্যামোসের কড়া চ্যালেঞ্জে। পরে জানা যায় কাঁধের হাড় সরেছে মিশরীয় স্ট্রাইকারের। সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে কোয়ার্টারের আগের দিন ক্লপ জানিয়েছেন, ‘সেই রাতে যা হয়েছিল সেটা ঠিক হয়নি। আমাদের জন্য একটা খারাপ রাত ছিল ওটা। তবে তারপর অনেকটা সময় পেরিয়ে গিয়েছে। আমরা চাই না সেই রাতের অনুভূতি কিংবা রাগের পুনরায় বহিঃপ্রকাশ হোক। আমি শুধু আমার দলকে তৈরি করতে চাই আগামীকালের ম্যাচের জন্য। ওদের দেখিয়ে দিতে চাই আমরা কতোটা ভালো ফুটবল উপহার দিতে পারি।’
অন্যদিকে জিদান বলেছেন, ‘লিভারপুল একটা পূর্ণাঙ্গ দল। সবাই বলে ওদের তিন ফরোয়ার্ড ভীষণ ভালো। কিন্তু আমি মনে করি ওরা একটা দল হিসেবে খেলে। আমি ওদের একটা দল হিসেবে দেখতে চাই।’
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.