মালদহে জোটে ফাটল
প্রথম থেকেই জোটে সমস্যা ছিল মালদহকে নিয়ে। সেই মালদহ নিয়ে জটিলতা রয়েই গেল। কংগ্রেস প্রার্থী ঘোষণার পরেও মালদহের দুই কেন্দ্রে প্রার্থী দিল আইএসএফ। একই দিনে মালদহের সুজাপুর ও মোথাবাড়ি কেন্দ্রে মনোনয়ন জমা দেয় কংগ্রেস ও আইএসএফের দুই প্রার্থী। মোথাবাড়িতে আইএসএফের প্রার্থী হয়েছেন মহম্মদ আলি কলিমুল্লাহ। অন্যদিকে সুজাপুর কেন্দ্রে আইএসএফের প্রার্থী হয়েছেন নূর ইসলাম। ওই একই কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী করেছে ইশা খান চৌধুরীকে। আর মোথাবাড়ি কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী করেছে কংগ্রেসের দুলাল শেখকে।
কংগ্রেসের সঙ্গে বিরোধ
প্রথম থেকেই কংগ্রেসের সঙ্গে বিরোধ রয়েছে আইএসএফের। জোটে আইএসএফকে সামিল করা নিেয় প্রথম েথকেই আপত্তি ছিল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর। আসন বণ্টনের সময়েও আইএসএফের সঙ্গেই জটিলতা তৈরি হয়েছিল। আব্বাসরা উত্তরবঙ্গের সবকটি আসন দাবি করেছিলেন। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি কংগ্রেস। এই নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। শেষে আসন নিয়ে সমঝোতা হলেও বিরোধ কাটেনি।
অস্বস্তি বাম শিবিরে
প্রথম থেকেই মালদহের সুজাপুরে ইশা খান চৌধুরীকে সামনে রেখে প্রচার শুরু করেছিল বামেরা। কিন্তু আইএসএফ আলাদা করে প্রার্থী দেওয়ায় অস্বস্তি বেড়েছে শাসক দলে। এই নিয়ে নতুন করে চাপান উতোর তৈরি হয়েছে। আব্বাস কিন্তু নিজের সিদ্ধান্তে অনড়। তিনি কিছুতেই প্রার্থী প্রত্যাহার করতে রাজি নন। উল্টে দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচারে আগামী ২২ ও ২৩ এপ্রিল মালদহে জনসভা করবেন আব্বাস সিদ্দিকি।
আক্রান্ত আইএসএফ প্রার্থীরা
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়, শাসন, হাড়োয়া সহ একাধিক জায়গায় আব্বাসের প্রার্থীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শাসনে আইএসএফ প্রার্থীকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ এবং তাঁকে কালো পতাকা দেখিয়ে
গো ব্যাক স্লোগান দেন গ্রামবাসীরা। প্রার্থীকে মারধরও করা হয়েছে বলে অভিযোগ।