হাজির হয়েছে গরম। চৈত্রের শেষ হতে না হতেই গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত। গরমে আমাদের শরীরে নানা সমস্যা দেখা দেয়। জ্বর, ডিহাইড্রেশন, পেটের বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয় আমাদের। গরম আমাদের হজম ক্ষমতাকেও অনেক কমিয়ে দেয়, হজমের সমস্যায় দেখা যায়। তাই গরমে সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং হেলদি জীবযাপনই একমাত্র সুস্থতার মাপকাঠি।

জেন মাল্টি স্পেশালিটি হসপিটাল এর গ্যাসট্রয়েনটেরলজিস্ট ডাঃ রায় পটঙ্কর বলেছেন, ‘গরমে সকল বয়সি মানুষের মধ্যে কম বেশি দেখা দেয় স্টমাক ফ্লু বা গ্যাসট্রয়েনটিরিটিস। গা বমি ভাব, উদরে যন্ত্রণা, মল মূত্রের সাথে রক্ত ক্ষরণ, আমাশয়, ডিহাইড্রেশন এই সকল লক্ষণ দেখা যায়। অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং দূষিত জল পান থেকেই দেখা যায় এই ধরনের সমস্যা।’ তিনি আরও বলেন, ‘গরমে টাইফয়েডের প্রবণতা অনেক বেড়ে যায়। টাইফয়েড এক ধরনের উচ্চ মাত্রার জ্বর যা থেকে ক্লান্তি, দুর্বলতা, পেতে যন্ত্রণা, মাথা ব্যাথা, খাবারে অনীহা নানা লক্ষণ দেখা দেয়।’

গরমে যখন উষ্ণতা এবং আদ্রতা বৃদ্ধি পায় তখন আমরা বমি বমি ভাব অনুভব করি। কোষ্ঠকাঠিন্যের সম্মুখীন হই। এমনকি ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (আইবিএস) গ্রীষ্মে আরও বেড়ে যায়। এর লক্ষণ গুলি হল ডায়রিয়া, উদরে যন্ত্রণা, গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য, হজমে সমস্যা।

গরমে হজমে সহায়ক কি কি খাওয়া উচিত দেখে নিন:

১. ভারী বা রিচ খাবার গরমে এড়িয়ে চলাই ভালো। লাইট খাবার খান। অল্প সময়ের ব্যবধানে হালকা খাবার খান। এতে আপনার হজম ভালো হবে। রোজকার ডায়েটে ফাইবার, প্রোটিন, ক্যালশিয়াম, আয়রন, ভিটামিন যুক্ত খাবার রাখুন। যেমন- টাটকা ফল, টাটকা সবজি। বেশি করে গ্রীন ভেজিটেবল, টমেটো, তরমুজ, শশা, আনারস, মুষ্টি আলু খান। অবশ্যই করে শশা, পিয়াঁজ, গাজর, টমেটো দিয়ে স্যালাড খান। পেট সুস্থ থাকবে হজম ভালো হবে।
২. গরমে বেশি করে জল খান। ডাবের জল গরমে পাকস্থলীতে অ্যাসিডের মাত্রা সমান্তরাল রাখে। শরীর থেকে উষ্ণতা দূর করে শরীর শীতল রাখে।
৩. টক দই গরমের জন্য ভীষণ উপকারী। এতে উপস্থিত প্রয়োজনীয় অ্যাসিড গুলি আপনার শরীর ডি টক্সিফাইন করে। ফলে আপনার হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
৪. রাস্তার ধারের ফাস্ট ফুড একেবারেই এড়িয়ে চলুন। এই ধরনের খাবার স্বাস্থের পক্ষে ভালো নয়। ফুড পয়জনিং ও দেখা দিতে পারে।
৫. নিত্য শরীরচর্চা করুন। যোগা, দৌড়, সাঁতার, সাইকেলিং, এরোবিক এই ধরনের এক্সারসাইজ আপনাকে প্রদান করবে একটি সুস্থ জীবন।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।