ওয়াশিংটন : বিচিত্র এই দুনিয়ায় কত না রঙ্গ দেখা যায়। কখনও নিজের ইচ্ছাপূরণে অথবা অপরকে ক্ষনিকের আনন্দ দিতে কতই না অদ্ভুত  অদ্ভুত সব কাজ করতে দেখা যায় মানুষকে। আর যা নিয়ে বেশ শোরগোল ও পড়ে যায় জগত জুড়ে। কেউ মনে রাখে আবার কেউ ভুলে যান।
তবে সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় । যাকে ঘিরে মানুষের মধ্যে ব্যাপক উন্মাদনা চোখে পড়েছে। মাত্র ১২ মিনিট ১৪ সেকেন্ডের ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওটিতে কয়েক ঘন্টার মধ্যে ভিউয়ার্স ছাড়িয়েছে ৫০ মিলিয়নেরও বেশি। সঙ্গে নেট দুনিয়ায় রি-পোসট, লাইক, কমেন্ট এবং শেয়ারের বন্যা বয়ে গিয়েছে।
ভাইরাল ওই ভিডিওটিতে আদতে জনপ্রিয় মার্কিন ইউটিউবার মিঃবিস্ট ওরফে জিমি ডোনাল্ডসনের করা। মার্কিন ওই যুবক তাঁর ইউটিউব দর্শকদের আনন্দ দিতে সম্প্রতি একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন । ভীষণ ভাবে ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওটিতে  দেখা  গিয়েছে  মিঃবিস্ট ইউটিউবে তাঁর ৫৭.২ মিলিয়ন গ্রাহককে আনন্দ  দিতে ৫০ ঘন্টা একটি কফিনের মধ্যে নিজেকে বন্দি অবস্থায় সমাধিস্ত করে রেখেছেন।
ভাবলেই চোখ কপালে ওঠার যোগার। এটা আবার কী ভাবে সম্ভব!  এক, দুই নয় টানা পঞ্চাশ ঘন্টা! জীবিত অবস্থায় বদ্ধ কফিনের মধ্যে মাটির নীচে শুয়ে থাকা কি করে সম্ভব ।
তবে হ্যাঁ গ্রাহকদের আনন্দ দিতে এমনই দুঃসাধ্য সাধন করে দেখিয়েছেন তরুণ ওই মার্কিন ইউটিউবার।
১২ মিনিটের ভাইরাল ওই ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে , নিজের প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে একটি বড় জায়গায় কফিনের মধ্যে নিজেকে আবদ্ধ করে রেখেছেন মিঃ বিস্ট। ক্যামেরার সাহায্যে রেকর্ড করা ওই ভিডিওটিতে আরও দেখা গিয়েছে , তাঁর বন্ধুরা কফিনের উপর বেলচা দিয়ে মাটি ছড়িয়ে সেটি ভরাট করে দিচ্ছেন। যদিও তখনও বন্ধুদের সঙ্গে বেশ খোশ মেজাজে ফোনে গল্প করে যাচ্ছেন মিঃ বিস্ট৷
যদিও কোনও রকম বিপদ এড়াতে কফিনের কাছাকাছি একটি মেডিকেল টিমও রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কারণ, দীর্ঘক্ষণ ওভাবে থাকার ফলে যদি বিস্ট অসুস্থ হয়ে পড়েন তাহলে সঙ্গে  সঙ্গেই তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।
তবে  বিস্টের এই ভিডিওটি দেখে তাঁর গ্রাহকেরা বেশ মজা পেলেও এই ধরনের কান্ড কারখানায় খুব একটা খুশি নন ওই জনপ্রিয় মার্কিন ইউটিউবার। কারণ, কফিনের ভিতর যাবতীয় সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা থাকলেও সেখান বেরিয়ে আসার পর বিরক্তের সুর শোনা গিয়েছে তাঁর গলায়।
তিনি বলেন, ” এভাবে টানা ৫০ ঘন্টা কফিনের মধ্যে শুয়ে থাকায় আমার পিঠে ব্যথা যন্ত্রণা হচ্ছে। আমি মন থেকে বিরক্ত। এই ধরনের কাজে আমার খুব খারাপ লাগছে।”
যদিও সেসবের তোয়াক্কা না করে মিঃ বিস্টের এই ভিডিও যে নেট নাগরিকদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে তা বলায় বাহুল্য। তাহলে কী ভাবছেন? আপনিও একবার পরখ করে দেখবেন নাকি ভিডিওটি!

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।