‌সংক্রমণ বাড়ছে, হাসপাতালে নেই বেড, ‘‌ট্রিয়াজ’‌ পদ্ধতিতে রোগীদের চিকিৎসা পুনের হাসপাতালে

গত বছরের মতোই এ বছরও করোনা ভাইরাস সংক্রমণে শীর্ষে রয়েছে সেই মহারাষ্ট্রের নামই। দৈনিক সংক্রমণ রাজ্য সরকারের চিন্তা ক্রমশঃ বাড়িয়ে তুলছে, তবে সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করা হয়নি রাজ্যে। এরই মধ্যে রাজ্যের যা হাল তা অদূর ভবিষ্যতে মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যাহত হতে পারে এমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে। সেরকমই বিষয় দেখা গেল পুনের একটি হাসপাতালে। পুনে সংলগ্ন একটি সরকারি হাসপাতালে অক্সিজেনযুক্ত বেড অন্যান্য রোগীদের দখলে থাকায় হাসপাতালের বাইরে রোগীদের অক্সিজেন সাপোর্ট সরবরাহের জন্য '‌ট্রি‌য়াজ’‌ সুবিধার বন্দোবস্ত করা হয়েছে।

সংক্রমণ বাড়ছে পুনেতে

পুনেতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা কেস সনাক্ত হয়েছে ১২,৪৯৪টি, যা এই জেলায় মোট কোভিড আক্রান্তদের সংখ্যাকে নিয়ে গিয়েছে ৫,৭৪,৮২৯-তে। পুনেতে টানা তিনদিন ধরে নতুন করোনা কেসের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সরকারি আধিকারিকরা। একদিকে যখন পুনেতে তীব্রভাবে সংক্রমণ বাড়ছে অন্যদিকে হাসপাতালগুলিতে বেডের অভাব দেখা দিয়েছে। সরকারি এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে পিম্পরি ছিঞ্চওয়াড় শহরের যশবন্ত রাও ছবন মেমোরিয়াল হাসপাতালে (‌ওয়াইসিএমএইচ)‌ রবিবার অক্সিজেন সাপোর্ট বেডের সংখ্যা কমে গিয়েছে এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হাসপাতালের বাইরে মেডিক্যাল ট্রি‌য়াজের বন্দোবস্ত করছে।

অক্সিজেন যুক্ত বেড নেই হাসপাতালে

ওয়াইসিএমএইচের ডিন ডাঃ রাজেন্দ্র ওয়াবেল বলেন, ‘‌হাসপাতালের শয্যাগুলির মধ্যে ৪৩২টি বেড কোভিড রোগীদের জন্য উপলব্ধ, ৫৫টি আইসিইউ বেড এবং বাকি বেড অক্সিজেন সাপোর্ট যুক্ত। রবিবার হাসপাতালের অক্সিজেন যুক্ত বেডের সংখ্যা একেবারেই কমে এসেছে। আর রোগীদের তৎক্ষণাত স্বস্তি দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষ হাসপাতালের বাইরেই ট্রিয়াজ এলাকা তৈরি করেছে, যেখানে পাঁচটি বেড রাখা হয়েছে।'

ট্রিয়াজ কি

চিকিৎসার ভাষায় ট্রি‌য়াজ এলাকা বা একটি স্টেশন গঠন করা, যেখানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীদের অগ্রাধিকার অনুযায়ী জরুরি চিকিৎসা দিতে পারে এবং দ্রুত চিকিৎসা করানোর জন্য বদ্ধপিকর হয়। ওয়াবেল বলেন, ‘‌যতক্ষণ না পর্যন্ত কাগজ-কলমের কাজ শেষ হচ্ছে এবং ওয়াইসিএমএইচ হাসপাতালে বা অন্য কোনও কোভিড-১৯ সুবিধাযুক্ত জায়গায় রোগীদের জন্য বেড উপলব্ধ না হচ্ছে, ততদিন রোগীদের ট্রিয়াজ এলাকায় রেখে অক্সিজেন সাপোর্ট দিয়ে তাৎক্ষণিক স্বস্তি দেওয়া হবে।'‌ তিনি এও জানিয়েছেন যে ট্রিয়াজ এলাকায় এ ধরনের চিকিৎসা করা মোটেও ভুল কাজ নয়। ওয়াবেল বলেন, ‘‌রবিবার দুপুর সাড়ে তিনটে পর্যন্ত, ট্রিয়াজ এলাকায় তিনজন রোগীকে অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়া হয়েছে, তাঁরা হাসপাতালের ভেতর বা অন্য কোনও হাসপাতালে বেডের জন্য অপেক্ষা করছিল।'‌

বেড খালি নেই

পুনে মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের ড্যাশবোর্ড অনুযায়ী, রবিবার রাত আটটা পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউ বেড সহ ভেন্টিলেটরের আওতায় কোনও বেডই খালি নেই।

সোনার দামে সপ্তাহের প্রথম দিনেই হু হু করে পতন, ৫ এপ্রিল কলকাতায় দর কোনদিকে

More CORONAVIRUS News