সৌপ্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় : আমি কোন রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করেন? প্রশ্ন করলেই অদ্ভুত উত্তর আসে। আমি নিরপেক্ষ। কোনও দলে নেই। ওরা বলছেন এই কথা বলার সময় গিয়েছে। এখন পক্ষ নিতে হবে, পক্ষে সঠিক বুদ্ধি দিয়ে বেছে নেওয়ার সময় এসেছে। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ পক্ষে নেওয়ার বার্তা দিচ্ছেন। কাদের পক্ষে? ওরা বলছেন মনুষ্যত্বের পক্ষে, সম্প্রীতির পক্ষে, নারী স্বাধীনতা, ভালোবাসা, বাকস্বাধীনতার পক্ষ বেছে নেওয়ার। আর কাদের বিপক্ষে? ওরা বলছেন, অমানবিকতার বিপক্ষে, ধর্মান্ধতার বিপক্ষে থাকার।
বাংলার এই বিধানসভা ভোট এখন এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে বিভিন্ন দেশ থেকে বাঙালি এর দিকে নজর রেখেছে। এবারের ভোট যে মানুষের হয়ে কাজ করার থেকে ধর্ম , জাতিগত পার্থক্য এসব বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে তা স্পষ্ট। তাই আমেরিকা, ইউরোপ, সিঙ্গাপুর অস্ট্রেলিয়া সারা পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বাঙালিরা আবেদন রাখছেন – আজ আর নিরপেক্ষ থাকার সময় নয়। আপনিও পক্ষ নিন। সেই নিয়ে এক অদ্ভুত ভিডিও সোশ্যাল মাধ্যমে এই মুহূর্তে ঘুরেও বেড়াচ্ছে। তারা কেউ অ্যাডিলেডের বাসিন্দা, কেউবা লেহাই উটার , কেউ সানফ্রানসিসকোর, কেউ থাকেন লস অ্যাঞ্জেলসে, কেউ থাকেনশিকাগো, কারও নিবাস ভ্যাস্তেরস, কেউ কর্মসূত্রে থাকেন বার্কলেতে, কেউবা সিঙ্গাপুর, এগ্যামে, রয়েছে মুম্বইও। সবাই এরা পক্ষ বেছে নিতে বলছেন। বলছেন এটাই পক্ষ বেছে নেওয়ার সঠিক সময়।
ঠিক কী বলছেন তাঁরা? বলছেন যারা গণতন্ত্র, সাম্য, স্বাধীনতা, বাকস্বাধীনতা, মহিলা সুরক্ষা, সংখ্যালঘু মানুষের অধিকারের বিরুদ্ধে। যারা বিজ্ঞান বিরোধী, সংবিধান, কৃষক, শ্রমিকের বিরোধী। যারা ধর্মের নামে রাজনীতি করে তাঁরা তাদের পক্ষে নেই। বলতে চাইছেন, বাংলা থেকে বহুদূরে থেকেও তাঁরা বাংলা ও বাঙালির এই ভালোটুকু বুঝছেন, তাই বাংলার যারা মানুষ আছেন তাঁদেরও বোঝা উচিৎ। উপরোক্ত বিষয়গুলি যারা ঘাঁটবেন তাদের বিপক্ষে যাওয়ার বার্তা দিচ্ছেন এই প্রবাসী বাঙালিরা। ওঁরা বলছেন, ‘ভাবুন, পক্ষ নিন। ভাবুন, ভোট দিন’
বেশিক্ষন নয়, এক মিনিট এগারো সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে তাঁরা এই বার্তা দিয়েছেন। বলছেন সময় হয়েছে পক্ষে নেওয়ার।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.