মুম্বই: মরুশহরে আইপিএল ২০২০ মরশুমটা মোটেই ভালো যায়নি দিল্লি ক্যাপিটালস ব্যাটসম্যান পৃথ্বী শ’র জন্য। গত মরশুমে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে ২টি অর্ধশতরান সহ মাত্র ২২৮ রান এসেছিল অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বজয়ী অধিনায়কের ঝুলিতে। পরবর্তীতে অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েও ব্যর্থ হয়েছিলেন পৃথ্বী। ওয়ার্ম-আপ ম্যাচ সহ সিরিজের প্রথম টেস্টে ফর্ম হাতড়ে বেরিয়েছিলেন তরুণ এই ব্যাটসম্যান। এরপর বাদ পড়েছিলেন একাদশ থেকে।

তবু সাড়া জাগিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আঙিনায় আত্মপ্রকাশ করা পৃথ্বীর মধ্যে সুপারস্টার হওয়ার সমস্ত রসদ আছে বলে মনে করেন তাঁর ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের কোচ রিকি পন্টিং।

অস্ট্রেলিয়া সফরে ব্যর্থ হওয়ার পর সাম্প্রতিক অতীতে দেশের মাটিতে ঘরোয়া টুর্নামেন্টে অবশেষে রানের মধ্যে ফিরেছেন মুম্বইকার ব্যাটসম্যান। সদ্য-সমাপ্ত বিজয় হাজারে ট্রফিতে আট ম্যাচে পৃথ্বীর ব্যাট থেকে এসেছে ৮২৭ রান। যা সর্বকালীন রেকর্ড। বিজয় হাজারে ট্রফির ইতিহাসে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ৮০০ বা তার বেশি রান সংগ্রহ করেছেন বছর একুশের ব্যাটসম্যান। আর সেই ফর্ম ধরে রেখেই আইপিএলেও জ্বলে উঠতে মরিয়া পৃথ্বী। সম্প্রতি দলের তরুণ প্রতিভাকে নিয়ে বলতে গিয়ে তাঁর অজানা একটি কাহিনীর কথা বলেছেন অস্ট্রেলিয়ার দু’বারের বিশ্বজয়ী অধিনায়ক।

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে পন্টিং বলেছেন, ‘গতবছর আইপিএল চলাকালীন ওর সঙ্গে আমার গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। আমি শুধু চেষ্টা করে গিয়েছি কীভাবে ওর মধ্যে থেকে সেরাটা বের করে আনা যায়।’ পন্টিং যোগ করে বলেন, ”ও যখন ম্যাচে রান পায় না তখন অনুশীলনেও ও ব্যাট করতে চায় না। কিন্তু ম্যাচে রান পেলে সারাদিন ব্যাট করে যেতে পারে। গত মরশুমে টানা চার-পাঁচ ম্যাচে ও দশেরও কম রান করেছিল তখন আমি ওকে বলতাম। ‘আমাদের নেটে গিয়ে অনুশীলন করা উচিৎ।’ কিন্তু ও আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বলত, ‘না আজ আমি ব্যাট করব না।’

আশা রাখব এখন হয়তো সেই স্বভাবটা ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে। আমি জানি গত কয়েকটা মাস ও কতোটা পরিশ্রম করেছে। আমরা যদি ওর থেকে সেরাটা বের করে আনতে পারি তাহলে ও একজন সুপারস্টার ক্রিকেটার হিসেবে ধরা দেবে।”

এখন দেখার গত বছরের ব্যর্থতা ঝেরে ফেলে ২০২১ আইপিএলে পৃথ্বী দিল্লির হয়ে ব্যাট হাতে কীভাবে মেলে ধরেন নিজেকে। আগামী ১০ এপ্রিল আইপিএলের দ্বিতীয় ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসের মুখোমুখি হবে গতবারের রানার্স দিল্লি ক্যাপিটালস।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।