শ্রীনগর: পৃথিবীর উচ্চতম সেতুর কাজ অগ্রসর হল অনেকটাই। সেতুর মূল অংশ আর্চ তৈরির কাজ শেষ হল। জম্মু ও কাশ্মীরের চন্দ্রভাগা নদীর উপর এই সেতু নির্মাণ করেছে উত্তর রেল। সোমবার এই সেতুর আর্চ তৈরির কাজ শেষ হওয়ার পর বলা যায় এক বড়সড় মাইলস্টোন টপকালো রেলওয়ে।
চন্দ্রভাগা নদীর থেকে ৩৫৯ মিটার উঁচুতে বানানো হয়েছে এই সেতু। এর দৈর্ঘ্য ১.৩ কিলোমিটার। এটি তৈরি করতে খরচ পড়েছে ১ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকা। উধমপুর-শ্রীনগর-বারামুল্লার (USBRL প্রজেক্ট) মধ্য়ে সংযোগ স্থাপন করতে সাহায্য করবে এই সেতু। প্যারিসের আইফেল টাওয়ারের থেকে এই সেতুর উচ্চতা ৩৫ মিটার বেশি। এক বছরের মধ্যে সেতুর কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলে আশাবাদী রেল। উত্তর রেলের জেনারেল ম্যানেজার আশুতোষ গঙ্গাল বলেছেন, “উত্তর রেলের জন্য এটি এক ঐতিহাসিক দিন। USBRL প্রজেক্ট এক মাইলস্টোন অতিক্রম করল। গোটা দেশের সঙ্গে কাশ্মীরের সংযোগ রক্ষা করবে এই সেতু। আর আড়াই বছরের মধ্যে গোটা প্রজেক্টের কাজ শেষ হয়ে যাবে।”
কিছুদিন আগে এই সেতুর আর্চের নিচের অংশ তৈরির কাজ শেষ হয়। তখন একটি ভিডিও শেয়ার করেছিলেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। তিনি বলেন, এটি একটি ঐতিহাসিক মুহুর্তে। চন্দ্রভাগা নদীর উপর যে সেতু তৈরি হচ্ছে তার আর্চ বটম তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। এরপরে, ইঞ্জিনিয়ারিং মার্ভেলের আর্চ আপার তৈরি হবে। আর সোমবার সেতুর গোটা আর্চ তৈরির কাজই শেষ হল।
একাধিক চ্যালেঞ্জ ও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই সেতুর কাজ করেছেন কর্মীরা। ভৌগলিকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ এই জায়গায় ইঞ্জিনিয়র ও অন্যান্য কর্মীরা ওভারটাইম কাজ করেছেন। বিশ্বের উচ্চতম সেতু বানাতে দিনরাত এক করে কাজ করেছেন তাঁরা। উত্তর রেলওয়ের তরফে জানানো হয়েছে, সবচেয়ে শক্ত কাজ হল ১১১ কিলোমিটার লম্বা সেকশনের। এটি উধমপুর-শ্রীনগর-বারামুল্লা রেল লিঙ্কের। এই কাজ ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্য়ে শেষ হওয়ার কথা। এর সাহায্যে ভারতের সঙ্গে কাশ্মীর রেল লাইনের মাধ্যমে যুক্ত হবে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.