প্রচারে জলপাইগুড়িতে অধীর চৌধুরী
কংগ্রেস-বাম প্রার্থীদের প্রচারে এদিন জলপাইগুড়িতে গিয়েছিলেন অধীর চৌধুরী। গতবারের মতো এবারও জলপাইগুড়ি সদর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন প্রাক্তন আমলা তথা বর্তমান কংগ্রেস বিধায়ক সুখবিলাস বর্মা। অন্যদিকে মেখলিগঞ্জ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ফরওয়ার্ড ব্লকের সুখবিলাস বর্মা। এই দুই প্রার্থী সমর্থনে প্রচারে জলপাইগুড়ির ঘুঘুডাঙায় সভা করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। এই সভায় প্রার্থীরা ছাড়াও ছিলেন কংগ্রেস নেতা নির্মল ঘোষ দস্তিদার এবং জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক সলিল আচার্য।
রুটি-রুজির কথা বলছেন না মমতা
অধীর চৌধুরী এদিন কড়া ভাষায় মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, মুখে স্লোগান দিচ্ছেন খেলা হবে। কিন্তু যুবকরা যে বাইরে কাজ করতে যাচ্ছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি প্রসঙ্গে তিন পাল্টা প্রশ্ন করেন ২৯ লক্ষ চাকরি কোথায় হয়েছে। পাশাপাশি তিনি রাজ্য সরকারের ঋণের পরিমাণ নিয়ে সরব হন। তিনি অভিযোগ করেন কৃষকরা একদিকে যেমন ফসলের বিমা পাচ্ছেন না, অন্যদিকে সার-বীজের দামও বেড়েছে।
কয়লা ও গরু পাচার নিয়ে ফের সরব
এদিনও অধীর চৌধুরীকে রাজ্যে কয়লা ও গরু পাচার নিয়ে সরব হতে দেখা গিয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, দিদি ও ভাইপো কয়লা, বালি, গরু নারী সব কিছু পাচার করছেন। রাজ্যকে পাচারের রাজ্যে পরিণত করেছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত রবিবারও অধীর চৌধুরী বলেছিলেন, সব চুরিতেই জড়িত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পিসি ও ভাইপো মিলে লুট করেছে। তিনি প্রশ্ন করেছিলেন শাসনে থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি কয়লা ও গরু পাচারের কথা জানতেন না?
চিকিৎসকের সার্টিফিকেট দেখাতে পারেননি
১০ মার্চ পায়ে আঘাত লাগার দিন এসএসকেএম-এ ভর্তি। দুদিনের মধ্যে বাড়িতে। এরপর হুইল চেয়ারে বসেই প্রচারে অংশ নেওয়া। এরপর কখনও ভাঙা পায়ের ওপরে অন্য পা তুলে দেওয়া কিংবা উঠে দাঁড়ানো কিংবা নন্দীগ্রামে গিয়ে পা দোলানো, বিভিন্ন ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি মমতৈা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্র দেখতে চেয়েছেন। এদিন সেই বিষয়টিই নিয়েই আরও একবার সরব হয়েছেন অধীর চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ডাক্তারের সার্টিফিকেট দেখাতে পারেননি। এখন শুরু নাটক করে বেড়াচ্ছেন।