তৃণমূলের স্থান হবে পাকিস্তানে! বললেন ভারতী
নিজের কেন্দ্র ডেবরায় দ্বিতীয় দফার ভোট শেষে কোচবিহারের তুফানগঞ্জে দলীয় প্রার্থীর প্রচারে গিয়েছিলেন ভারতী ঘোষ। সেখানে বিজেপি প্রার্থী মালতি রাভার সমর্থনে জনসভা থেকে বলেন, তৃণমূলের স্থান হবে পাকিস্তানে। ভোটের পরে সকলকে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে ঝড় ওঠে।
যা শোনা যেত উত্তরপ্রদেশ-বিহারে, এবার বাংলাতেও
এর আগে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, যাঁরা পাকিস্তান জিতলে বোমা ফাটায় তাঁদের কি ভোট দেবেন? নাকি ঘরের ছেলেকে ভোট দেবেন। নন্দীগ্রামে ভোটের আগে শুভেন্দুর মুখে এই কথা শোনার পর বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। যা শোনা যেত উত্তরপ্রদেশ-বিহারে, বিজেপি প্রার্থীদের কল্যাণে তা এবার বাংলার নির্বাচনেও শোনা যাচ্ছে।
তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হন ভারতী ঘোষ
একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে ভারতী ঘোষ পাকিস্তান প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। এদিন মদনমোহন মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচারকার্য শুরু করেন ভারতী দেবী। রামপুর বাজার এলাকায় তিনি একটি জনসভা করেন। আরও একটি সভা করেন তল্লিগুড়ি এলকায়। দুই সভা থেকেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হন ভারতী ঘোষ।
টিকিট কেটে পাকিস্তানে পাঠাতে ১ টাকা চাঁদা
শাসকদের দুর্নীতি প্রসঙ্গে ভারতী ঘোষ বলেন, আপনারা এক টাকা করে জমিয়ে রাখুন। ১০ কোটি ১৯ লক্ষ মানুষের সেই টাকায় তৃণমূলের সকলকে ভোটের পর টিকিট কেটে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। বিজেপি নেত্রীর এই মন্তব্যের পাল্টা দেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তিনি বলেন, বাংলার রাজনীতিতে গুরুত্বহীন নেত্রী। বাংলার মানুষ জানেন তিনি কী ধরনের মানুষ।