টালমাটাল পরিস্থিতিতেই ভোটগ্রহণ পুদুচেরিতে
এহেন টালমাটাল পরিস্থিতিতেই ভোটগ্রহণ হচ্ছে পুদুচেরিতে। পুদুচেরিতে লড়াইটা কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ বনাম বিজেপি নেতৃত্বাধীন বিজেপি। পুদুচেরিতে কংগ্রেস ১৫টি আসনে লড়বে। তাদের জোটসঙ্গী ডিএমকে লড়বে তিনটি আসনে। এছাড়া বাকি আরও কয়েকটি আসনে লড়বে সিপিআই এবং ভিসিকে। এদিকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নারায়নস্বামী যে আর মুখ্যমন্ত্রিত্বের দাবি জানাবেন না। নির্বাচনেও তিনি লড়ছেন না। এই পরিস্থিতিতে ইউপিএ-র মুখের অভাব দেখা দিয়েছে।
মুখের অভাবে কংগ্রেস
এদিকে বিজেপি তথা এনডিএর হয়ে প্রচারে পুদুচেরিতে এসে ঝড় তুলে গিয়েছেন স্বয়ং নরেন্দ্র মোদী। পুদুচেরিতে বিজেপির জোটসঙ্গী এনআর কংগ্রেস, এআইএডিএমকে। মোদী সব সেখানকার এনডিএ নেতাদের বারংবার উঠে এসেছে নারায়ণস্বামীর বিরুদ্ধে বিষোদগার। তাদের স্পষ্ট বক্তব্য, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নারায়ণস্বামী যে কতটা ব্যর্থ ছিলেন, তার প্রমাণ এটাই যে কংগ্রেস তাঁকে এবারে টিকিটই দেয়নি।
ভোটারদের মন জয় করতে পুদুচেরিতে মোদী
এদিকে পুদুচেরির উন্নয়নের জন্য যে বিজেপি এবং এনডিএ বদ্ধপরিকর তা বোঝাতে সেখানে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে। জোটের সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রী পদ প্রার্থী এনআর কংগ্রেসের এন রাঙ্গাস্বামী হলেও প্রচারের মধ্যমণি যে নরেন্দ্র মোদী, তা বলাই বাহুল্য। প্রধানমন্ত্রী পুদুচেরিতে গিয়ে একের পর এক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছেন। পাশাপাশি পুদুচেরির প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের দায়বদ্ধতা মনে করিয়ে দিয়ে ভোটারদের মন জয় করতে চান।
ব্র্যান্ড মোদীর উপর ভরসা বিজেপির
এদিকে বিভিন্ন ভোট পূর্ববর্তী সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে কংগ্রেসের থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে এনডিএ। ৩০ আসন বিশিষ্ট এই কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে বিজেপি ২০ বা তার বেশি আশনে জয় পেতে পারে বলে জানা গিয়েছে বিভিন্ন সমীক্ষায়। এদিকে আয়তনে পুদুচেরি ছোটো হলেও দক্ষিণে বিজেপির রাজনৈতিক সম্প্রসারণের পক্ষে এই নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই নির্বাচনে জয় পেলে, দক্ষিণে ব্র্যান্ড মোদীর দরও বাড়বে বলে আশা বিজেপির।