মানুষের ওপরেই ভরসা
তিনি আরও বলেন, তৃতীয় দফার নির্বাচনে অভিষেকের গড়ে যেখানেই হোক, পশ্চিমবাংলা আজ কারো গড় নেই। আজ মানুষ ঠিক করে নিয়েছে তারা কি করবে। রাস্তায় আমি কাল দক্ষিণ ২৪ পরগনায় প্রচার করেছি, বাসন্তী থেকে আরম্ভ করে মগরাহাট অবধি যে ব্যাপক জনসমাগম রোড শোতে ভিড় আর সাধারণ মানুষের যে উচ্ছাস তাতে প্রমান হয়ে গেছে কোন কিছু ভয় ডর উপেক্ষা করে ওরা ভোট দেবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিনি বলছেন, ইচ্ছা না হলে কেউ তাকে সারাতে পারবে না ! ওনার ইচ্ছে উনি আসেনি। পাবলিকের ইচ্ছায় এসেছেন। পাবলিকের ইচ্ছায় যাবেন, সেজন্য উনার ইচ্ছা ও অনিচ্ছার কোন মূল্য নেই আজকে, উনি কি বলছেন কি করছেনতাতে কি যায় আসে কার ,মানুষ ওনাকে সুযোগ দিয়েছে ১০ বছর উনি ওনার ইচ্ছা মত করেছেন মানুষের এবার নিজের ইচ্ছামত করবে।
জয়া বচ্চনকে পটিয়ে প্রচারে
এদিন জয়া বচ্চনের প্রচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঠিক আছে জয়া বচ্চনের সঙ্গে আজকের প্রজন্মের কি সম্পর্ক আছে বাংলায় কজন তার নাম জানে ঠিক করে তিনি সমাজবাদি পার্টিতে এমপি হিসাবে গেছেন রাজ্যসভায় এটা ঠিকই বাংলার মেয়ে হিসাবে এক সময় তিনি অভিনয় করেছেন তাকে ভালোবাসে কিন্তু আজকে কোথায় আছে বাংলার সঙ্গে কি সম্পর্ক আছে বাংলার সমস্যা নিয়ে কিছু বলেছেন তিনি এসেছেন এর মধ্যে থাক অভিনয় করেছেন ঠিক আছে রাজ্যসভায় গেছেন ঠিক আছে এখন কি আছে পশ্চিমবাংলায় কেউ আসতে চাইছেন না জয়াদিকে পটিয়ে-পাটিয়ে নিয়ে এসেছেন।
মিঠুনের প্রশংসা
মিঠুন চক্রবর্তীর পাল্টা হিসাবে তিনি বলেন, কারো পাল্টা কিছু নয় মিঠুনদা বোম্বেতে রাজ করলে বাংলায় তার একটা পা ছিল গত কয়েক বছর ধরে বাংলাতে এসে টিভি প্রোগ্রাম থেকে শো থেকে আরম্ভ করে সিনেমা সব করেছেন, আর আমরা দেখলাম মিঠুনদা নামার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মধ্যে কি উন্মাদনা শুধু তাই নয় আর আমি অবাক হয়ে গেছি ৭০ বছর পার করে গেছে বয়স অতি সম্প্রতি তার অপারেশন হয়েছে অসুস্থ হয়ে ছিলেন কিন্তু যেভাবে সকাল ন'টা থেকে দাপিয়ে প্রচার করছেন এই টেম্পারেচারে এটা মিঠুন চক্রবর্তীই পারে দেখা যাক কি হয় করতে পারলে হবে।
এভিডেন্স হতে পারে অডিও টেপ
কয়লা পাচারে ৯০০ কোটি নিয়ে অভিষেক আর বিনয় মিশ্রর ভিডিও টেপ প্রকাশ নিয়ে তিনি বলেন, অনেক ভিডিও অডিও আসছে দেখুন আমার মনে হয় ভিডিওটি অডিওটা প্রশাসনিকভাবে আইনানুগভাবে এভিডেন্স হতে পারে কিন্তু সাধারণ মানুষ জনে জনে জানে কয়লা পাচারের টাকা আসানসোল থেকে রানিগঞ্জ কোন গাড়িতে আছে কোন কোন কনভয়ে আসে কে পাঠায় সবাই জানতো সাধারণ মানুষ চর্চা করে কিন্তু কারো সাহস ছিল না এটা বলা প্রচার করার তার বিরুদ্ধে এফআইআর করা কিন্তু পুলিশ এরমধ্যে যুক্ত ছিল তারাই টাকা পাঠাত আজকে যখন এগুলো আসছে ইডি সিবিআই যখন এর তদন্ত করছে মাথা গুলো কে ধরছে তাড়া করছেএগুলো বেরোচ্ছে আরো অনেক বেরোবে আমার মনে হয় যে মুড নিয়ে কাজ করছে সেন্ট্রাল এজেন্সিগুলো তাতে কাউকে জেলের বাইরে রাখবে না।
এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় অপপ্রচার নিয়েও মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসআর কি করবে যাদেরকে হাওয়া দিয়ে রাস্তায় নামাতো তারাতো নামছে না ভয় সেজন্য বোম্বে থেকে দিল্লি থেকে লোক আনতে হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস এই করবে সোশ্যাল মিডিয়ায় থাকবে সোসাইটিতে থাকবে না।
মানিকতলার ২০০ পরিবার এর বাড়িছাড়া নিয়েও মুখ খোলেন তিনি। বলেন, বলার কিছু নেই আমাদের চার-পাঁচজন ক্যান্ডিডেটের উপর আক্রমণ হয়েছে বহু জায়গায় অফিস ভাঙ্গা হয়েছে আমাদের ক্যান্ডিডেটদের কে মারা হয়েছে পরিবারের উপর অত্যাচার করা হয়েছে সেই ভাবেই কলকাতা আর দক্ষিণ ২৪ পরগনা উত্তর ২৪পরগনা টিএমসি নিজের গড় ভাবতো সেই গড় ভেঙে যাচ্ছে মানুষকে ভয় দেখানো হচ্ছে যাতে বিরোধী ভোটটা না পরে এবার দেখে নেবেন কলকাতায় ভোট কাকে বলে ,আসল খেলা তো এবার কলকাতায় হবে।