ঘরোয়া টি ২০ লিগে স্বচ্ছতা আনতে ও দুর্নীতি রোধে বিসিসিআইকে বেশ কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছে বোর্ডের দুর্নীতিদমন শাখা। সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বোর্ড বিভিন্ন রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছেন। এবার আইপিএলের আগে বোর্ডের সেই দুর্নীতিদমন শাখার শীর্ষ পদে রদবদল।
বিসিসিআইয়ের দুর্নীতিদমন শাখার প্রধান করা হলো শাবির হুসেন শেখাদম খাণ্ডওয়ালাকে। তিনি গুজরাতের প্রাক্তন ডিজিপি। অজিত সিংয়ের স্থলাভিষিক্ত হলেন গুজরাত পুলিশের শীর্ষপদে থাকা এই দুঁদে পুলিশকর্তা। অজিত সিং ছিলেন রাজস্থানের প্রাক্তন ডিজিপি। ২০১৮ সালের এপ্রিলে দায়িত্ব নিয়েছিলেন অজিত সিং। তাঁর কার্যকালের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ৩১ মার্চ। অজিত সিং জানিয়েছেন, বোর্ডের দুর্নীতিদমন শাখার নতুন প্রধানকে পুরোপুরিভাবে কাজ বুঝে নেওয়া অবধি তিনি সহযোগিতা করবেন।
শাবির হুসেন শেখাদম খাণ্ডওয়ালা ১৯৭৩ ব্যাচের আইপিএস অফিসার। আইপিএল শুরুর আগেই তাঁর দায়িত্বভার বুঝে নেওয়ার কথা। বছর সত্তরের এই দুঁদে পুলিশকর্তা বলেন, ক্রিকেট প্রশাসনে বিশ্বের সেরা বিসিসিআইয়ের সঙ্গে যুক্ত হওয়া সত্যিই সম্মানের। আমি ক্রিকেট ভালোবাসি। ফলে নিরাপত্তা বিষয়ক বিভিন্ন প্রশাসনিক দায়িত্ব সামলাতে আমার সুবিধাই হবে। আমার পূর্বসূরীকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাব যেভাবে বিসিসিআইয়ের ভাবমূর্তিকে স্বচ্ছ রাখতে তিনি প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছেন।
২০১০ সালে গুজরাতের ডিজিপি পদ থেকে অবসর নেন শাবির হুসেন শেখাদম খাণ্ডওয়ালা। এরপর তিনি এসার গ্রুপের সঙ্গে ১০ বছর যুক্ত ছিলেন। কেন্দ্রীয় সরকারের লোকপাল সার্চ কমিটিতেও ছিলেন তিনি। তাঁকেই এবার নতুন দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিসিআই। বুধবারই তিনি চেন্নাই পৌঁছে যাবেন। নতুন দায়িত্বে কীভাবে কাজ করতে হবে সে বিষয়টি অনেকটাই তিনি বুঝে নিয়েছেন পুনেতে ভারত-ইংল্যান্ড তৃতীয় একদিনের ম্যাচে উপস্থিত থেকে।
বোর্ডের দুর্নীতিদমন শাখার নতুন প্রধান মনে করেন, ভারতে বেটিং আইনস্বীকৃত না করা সঠিক পদক্ষেপ। কেন না, বেটিং থেকেই ম্যাচ ফিক্সিং হয়। ফলে দর্শক মাঠে যান খেলা দেখতে খেলার প্রতি বিশ্বাস রেখে। কিন্তু এমন পরিস্থিতি কাম্য নয় যেখানে দর্শক মাঠে যাওয়ার সময় ভাববেন ম্যাচে গড়াপেটা হয়ে রয়েছে কিনা। তাই বিশ্বের অন্য কিছু দেশে বেটিং আইনতভাবে স্বীকৃত হলেও আমার ধারণা এ দেশের সরকার সে পথে না হেঁটে ঠিক কাজই করেছে। খেলার প্রতি মানুষের বিশ্বাস অটুট রাখাই আমাদের প্রধান কর্তব্য। তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের প্রতিষ্ঠিত ক্রিকেটাররা এত অর্থ পান যে তাঁদের ম্যাচ ফিক্সিংয়ের লোভে পা দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। দেশের প্রতিটি প্রান্তে যাতে ক্রিকেট স্বচ্ছভাবে হয় তা নিশ্চিত করাই আমার লক্ষ্য। ছোট লিগ বা কোনও টুর্নামেন্টও যাতে দুর্নীতিমুক্ত রাখা যায় সে ব্যাপারে দুর্নীতিদমন শাখা যেভাবে কাজ করছে তা অব্যাহত রাখতে চাই।