কলকাতা ২৪৭x৭: আয়লা,বুলবুল, ফনী আম্ফান বা তারও আগের কথা, যখনই সাগরের দানব গজরাতে গজরাতে তেড়ে আসে তখন কান্তি আসে সবার আগে। বর্ষীয়ান বাম নেতা প্রাক্তন মন্ত্রী কান্তি গাঙ্গুলীর লড়াইটা এখানেই, তিনি প্রকৃতির তাণ্ডবের সঙ্গে পাল্লা দিতে চান।

এখন সাইক্লোন বা সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ের গতি প্রকৃতি অনেক আগে থেকেই জানায় আবহাওয়া বিজ্ঞান।সেই তথ্য নিয়ে সুন্দরবনের বিস্তির্ণ এলাকায় ঘূর্নি ঝড় আছড়ে পড়ার আগে থেকেই হাজির ‘কান্তি বুড়ো’।

বাম জমানার দীর্ঘ সময়ের মন্ত্রী কান্তি গাঙ্গুলীর পক্ষে ঝড় মোকাবিলা করা অভ্যাসে পরিনত হয়েছে। গত আম্ফানের সময় তাঁর একেকটা কর্মসূচি দেশ জুড়ে আলোড়ন ফেলেছিল। যেখানে রাজ্য সরকার অসহায়, স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক ‘নিরুদ্দেশ’ অথচ ‘হেরো কান্তি গো ভূতের মতো’ খেটে চলেছেন জনজীবনকে বাঁচানোর জন্য। লোকটা এমনই, একথা স্বীকার করে নেন রায়দিঘি বিধানসভার বহু তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কর্মী সমর্থক।

আম্ফান মোকাবিলা করতে প্রশাসনিক কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রাক্তন মন্ত্রী কান্তি গাঙ্গুলী সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছিলেন। তখনও ঝড় আছড়ে পড়েনি। তবে সেই চিঠির কোনও জবাবও আসেনি। এর পরেই শুরু হয়েছিল কান্তিবাবুর নিজস্ব রীতিতে চাল মজুত, সমুদ্র তীরবর্তী এলাকা থেকে গ্রামবাসীদের সরানো ও আশ্রয়দানের কথা।

ঝড়ের রাতে সবার সঙ্গেই জাগলেন কান্তি বুড়ো। সকালে বিদ্ধস্ত বঙ্গোপসাগর তীর ধরে গ্রামে গ্রামে তাঁর পৌঁছে যাওয়া একটি বিস্ময়কর অধ্যায়। পুরো এলাকা বিচ্ছিন্ন কান্তি গাঙ্গুলী চলেছেন বাইক সওয়ারি হয়ে।

আম্ফানের ত্রাণ দূর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ তৃণমূল কংগ্রেস। ত্রাণের সুষম বণ্টন ও সরকারি সুবিধার জন্য ঘেরাও আন্দোলনে নেতৃত্বে সিপিআইএম নেতা কান্তি গাঙ্গুলীর অবস্থান, পুলিশের সঙ্গে বাক বিতণ্ডার সরগরম মুহূর্ত বারবার সংবাদ মাধ্যমে উঠে এসেছে। ততটাই অভিযোগে বিদ্ধ হয়েছেন অভিনেত্রী তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক দেবশ্রী রায়।

রায়দিঘির বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলি নিয়ে কান্তি গাঙ্গুলী কিছু বলতে চাননা। আর বিধায়ক নিজেই ‘বেসুরো’, এমনই কটাক্ষ তৃণমূল শিবিরে। তিনি এলাকায় একদমই অপছন্দের এরকমই দাবি করছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ।

সামুদ্রিক ঝড় এলেই সংবাদ মাধ্যমে একইসঙ্গে আলোচিত হতে থাকে সিপিআইএম নেতা প্রাক্তন মন্ত্রী কান্তি গাঙ্গুলীর নাম। এমন নেতাকে দেখা গিয়েছিল ঝড়ের দাপটে মৃত মানুষের পচাগলা দেহ
বয়ে নিয়ে যেতে। বাম আমলে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী হয়ে যেমন ছিলেন, সরকার পতনের পর প্রাক্তন মন্ত্রী হয়েও বদলাননি।

গত দুটি বিধানসভা নির্বাচন ২০১১ ও ২০১৬ তে রায়দিঘি থেকে জিততে পারেননি কান্তি গাঙ্গুলী। তিনি এলাকা ছেড়েও দেননি। বলছেন আগে মানুষ পরে ভোট। আর সুন্দরবনবাসী বলে ‘ঝড় এলে কান্তি আসে।’

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।