কলকাতা: আবারো সহৃদয়তা এবং মানবিকতায় ভক্তকুলকে ইন্সপায়ার করলেন অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী। মানুষের জন্য কাজ করতে চাই বলে রাজনীতিতে যোগ দেওয়া নেতা-নেত্রীদের ভিড়ে আবারো অভিনেত্রী প্রমাণ করলেন মানুষের জন্য কাজ করতে হলে কোন রাজনীতির রং গায়ে মাখতে হয় না। থাকতে হয় সদিচ্ছা এবং উদ্দেশ্য। এবার তিনি তাঁর এলাকার প্রবীণ নাগরিকদের সঙ্গী। নিজের বন্ধু রাহুল দাশগুপ্তকে নিয়ে শনিবার ঋতাভরী চক্রবর্তী শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ১০০ দুঃস্থ প্রবীণ নাগরিকের কোভিড টিকাদানের ব্যবস্থা করলেন।

এর একটি ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা যাচ্ছে , বন্ধুকে নিয়ে মুখে মাস্ক পরে ঋতাভরী নিজে দাঁড়িয়ে আয়োজনের তদারকি করেছেন। হাসপাতালে স্থানীয় এলাকা দত্তাবাদের নানা বয়সের ১০০ জন প্রবীণ নাগরিকের ভিড়। প্রত্যেককেই যত্ন নিয়ে টিকা দেওয়া হয়েছে। ভিডিওর ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, “দত্তবাদ বসতি থেকে ১০০ জন প্রবীণ নাগরিকদের কোভিডের টিকাকরণ করানোর জন্য আমি এবং আমার প্রিয় বন্ধু রাহুল অঙ্গীকার নিয়েছিলাম।” পাশাপাশি আইএলএস হসপিটাল ও শতরূপা সান্যালের কাছেও কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Ritabhari Chakraborty (@ritabhari_chakraborty)

অভিনয় ছাড়া এনজিওর সঙ্গে যুক্ত থেকে বিশেষভাবে সক্ষম বাচ্চা,পথশিশু ও অনাথ বাচ্চাদের জন্য কাজ করেন অভিনেত্রী। নারী সচেতনতার জন্য বিভিন্ন কাজ করেই থাকেন তিনি। গত বছরই কলকাতার বিভিন্ন পাবলিক লেডিজ টয়লেটে স্যানিটারি ন্যাপকিন রাখার কাজ শুরু করেন তিনি। এক বছর কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেও ৮০টির‌ও বেশি পাবলিক লেডিজ টয়লেটে ভেন্ডিং মেশিন বসানোর কাজ সম্পূর্ণ করেছেন। কিছুদিন আগেই, তিনি সময় কাটিয়ে এসেছেন আইডিয়াল স্কুল ফর দ্যা ডিফের বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের সঙ্গে।

টেলি ধারাবাহিক ‘ওগো বধূ সুন্দরী’র দিয়ে পথ চলা শুরু করেন ঋতাভরী চক্রবর্তী। এই টলি ডিভা নানান ভিডিও পোস্ট করে আর একের পর এক সাড়া জাগানো ছবি দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল। শরীরচর্চা আর অন্যদিকে কড়া ডায়েটিং -এই দুইয়ের ব্যালেন্সে তিনি হয়ে উঠেছেন হট অ্যান্ড সেক্সি। ফ্ল্যাট অ্যাবস, মেদহীন ছিপছিপে কোমড়ের উষ্ণতায় মাতোয়ারা দর্শক।সদ্যই মুক্তি পেয়েছে চলেছে ঋতাভরীর প্রথম বাংলা সিঙ্গল অ্যালবাম ’রূপসাগরে’। এই গানের মিউজিক ভিডিও বেশ হিট হয়।অভিনেত্রীর ইন্সটাগ্রাম ফলোয়ার্স সংখ্যা ২.২ মিলিয়ন।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।