মহারাষ্ট্রে কোভিড–১৯ পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে তাতে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর অবনতি গত বছরের তুলনায় আরও বেশি করে দেখা দেবে। ইতিমধ্যেই পুনের হাসপাতালগুলিতে বেড আর নেই বলেই জানা গিয়েছে। এরই মাঝে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দিখা গিয়েছে নাগপুরের জিএমসি হাসপাতালে একটি বেডে একের অধিক কোভিড–১৯ রোগী শুয়ে রয়েছেন।
ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া এই ভিডিও সম্পর্কে হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্ট ডাঃ অভিনাশ ভি গাওয়ান্ডে বলেন, 'এখানে এটা ঘটেনি তবে যদি এখানে তা ঘটে থাকে তার কারণ হল রোগীরা শুধুমাত্র শহর ও গ্রাম থেকেই নয়, ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশ থেকেও আসছেন।’ এ বিষয়ে বিশদে বলতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, 'আমরা রোগীদের অপেক্ষা করাতে পারি না, কারণ এতে তাঁদের অক্সিজেন স্তরে প্রভাব পড়ে। রোগীদের ভিড় থাকার জন্যই এটা হয়েছে, নিয়মিতভাবে এই ঘটনা ঘটে না। রোগীদের প্রথমে ১৫ মিনিট থেকে আধঘণ্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় কারণ তাঁদের প্রথমে অক্সিজেন দেওয়া হয় এরপরই তাঁদের ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, 'যদি একটা সময়েই ৪০ জন রোগী চলে আসেন তখন একই সময়ে সকলকে ওয়ার্ডে দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে, তাই একটু কিছুটা সময় লাগে। আমরা প্রথমে অক্সিজেন সাপোর্ট দিই এবং তারপরই রোগীকে ওয়ার্ডে নিয়ে যাই।’ প্রসঙ্গত রবিবার নাগপুরে সর্বোচ্চ দৈনিক ৬২ জনের করোনায় মৃত্যু হয়েছে হয়েছে, যা করোনা রোগীর মৃত্যুর সংখ্যাকে নিয়ে গিয়েছে ৫,৩২৭–এ। নাগপুরে নতুনভাবে ৪,১১০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২,৪১,৬০৬–তে।
একদিনে নাগপুরে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩,৪৯৭ জন রোগী, এই নিয়ে এই জেলায় মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা ১,৯৪,৯০৮ জন। এই জেলায় সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৪১,৩৭১ জন। এছাড়াও রাজ্যে ১৮,১৩৫টি নতুন করোনা টেস্ট হয়েছে এবং মোট কোভিড টেস্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬,৯২,৯৭৩–এ।
করোনা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে, আগামীকাল ১১টি রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হর্ষ বর্ধনের