কলকাতা: স্বপ্ন এমন এক জিনিস যার উদ্দেশ্যে বলাই যায়, ‘ধাঁধার থেকেও জটিল তুমি, খিদের থেকেও স্পষ্ট’। স্বপ্নটা কী, আসল লক্ষ্য কী তা জানার পরেও যখন সেই স্বপ্ন জয় করার পথটা হয় এবড়ো খেবড়ো তখন তা জটিল লাগে বৈকি কিন্তু মস্তিষ্কের ভেতরে তা তো স্পষ্ট এবং প্রকটই থাকে। এরকমই এক স্বপ্ন পূরণের গল্প নিয়ে আসছে,’ট্যাংরা ব্লুজ’। যার সারমর্ম, সামর্থ্য সীমিত হলেও স্বপ্ন দেখার কোন শর্ত থাকে না। আর ইচ্ছা থাকলেই উপায় হয়। এইবার তা নিয়েই এই পয়লা বৈশাখে বড় পর্দায় মুক্তি পেতে চলেছে ‘ট্যাংরা ব্লুজ’।

খাস কলকাতার ট্যাংরাতেই থাকেন সঞ্জয় মন্ডল। যাঁর দায়িত্বে কতগুলো নিম্নবিত্ত পরিবারের তরুণ-তরুণী ভালোবেসে বানিয়ে ফেলেছে একটা মিউজিক্যাল ব্যান্ড। প্রথমেই বলেছি সামর্থ্য কিন্তু সীমিত। তাই দারুণ সমস্ত মিউজিকের ইন্সট্রুমেন্ট নেই তাঁদের কাছে। তবে আছে অদম্য জেদ তাই বালতি, কৌটো, গামলা এগুলোকেই নানা ভাবে ব্যবহার করে সেগুলোই হয়ে উঠেছে তাঁদের মিউজিকাল ইন্সট্রুমেন্ট। এগুলোই হয়ে উঠেছে তাঁদের স্বপ্ন পূরণের হাতিয়ার।

এই রিয়েল লাইফ ব্যান্ড দেখেই, আজ থেকে তিন চার বছর আগে অভিনেতা-পরিচালক পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় স্বপ্ন দেখেছিলেন এইরকম একটি বিষয়বস্তুর ওপর কাজ করার, ছবি তৈরি করার। যেই ভাবা সেই কাজ।শুরু হল রিসার্চ। পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের এই ভাবনায় যোগদান করলেন পরিচালক সুপ্রিয় সেন। রিয়েল লোকেশন এ রিয়েল জীবনের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হলো এই ছবি ।

ছবিতে অভিনয়ের তাগিদে দীর্ঘদিন ধরে এই ছবির কলাকুশলীদের সময় কাটাতে হয়েছে এবং জীবনযাপনের সঙ্গে একাত্ম হতে হয়েছে এই মিউজিকালি টিমের অসাধারণ রত্নদের সঙ্গে। বস্তিতে থাকলেও যে ভালো মেন্টর পেলে এক এক তরুণ-তরুণী যে রত্ন হয়ে উঠতে পারে, উদ্দেশ্য সৎ হলে এবং চোখে স্বপ্ন থাকলে তা বাস্তবায়ন যে খুব সীমিত সামর্থ্য সামর্থের মধ্যেও করা যায় তার গল্প বলবে ‘ট্যাংরা ব্লুজ’। এই ছবির ট্রেলার লঞ্চ হয়ে গেল গতকাল লঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, এই ছবির পরিচালক সুপ্রিয় সেন, ছবির অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, মধুমিতা সরকার, স্যামুয়েল আলম, ঐশানি দে, ঋষভ বসু। অবশ্য এই ছবির সহ প্রযোজনা করেছে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় এর প্রযোজনা সংস্থা ‘রোড শো ফিল্মস’।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।