মুম্বই: সবসময় সাধারণ পোশাকে থাকা, কোনও আড়ম্বর থেকে দূরে থাকাই কোটিপতি বিনিয়োগকারী রাধাকিশন দমানির সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য। শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারী হিসেবে তিনি পরিচিত। তবে এবার তিনি কিনে ফেললেন দেশের সবচেয়ে দামী বাড়ি।
ডি-মার্টের প্রতিষ্ঠাতা রাধাকিশন দমানি মুম্বাইয়ের মালাবার পাহাড়ে ১০০১ কোটি টাকা দিয়ে একটা বাড়ি কিনেছেন। যেটিকে দেশের সবচেয়ে দামী বাড়ি হিসেবে বলা হচ্ছে। এই বাড়িটি তিনি তাঁর ছোট ভাই গোপীকিশন দামানির সঙ্গে মিলে কিনেছেন।
রাধাকিশন দামানী ৩% স্ট্যাম্প শুল্ক দিয়ে ৩১ শে মার্চ এই নতুন বাড়িটি রেজিস্ট্রেশন করিয়েছেন। অর্থাৎ এই সম্পত্তি কিনতে স্ট্যাম্প ডিউটি হিসেবে দমানী পরিবারকে দিতে হয়েছে ৩০ কোটি টাকা। যে বাড়ি বা বাংলোটির কথা এখানে বলা হচ্ছে, সেটির নাম মধুকুঞ্জ। বিস্তীর্ণ এলাকার ওপর এই বাংলো বানানো হয়েছে।
আরও খবর পড়ুন – কয়লাকাণ্ডে এবার CBI দফতরে রঘুনাথপুরের SDPO
ফোর্বস ইন্ডিয়া-র রিপোর্ট বলছে দমানি দেশের চতুর্থ ধনী ব্যক্তি। তবে তাঁর এই উত্থান একদিনে হয়নি। মুম্বইয়ের একটি শহরতলির এলাকা থেকে খুচরা কারবার শুরু করেছিলেন তিনি। এছাড়া বিয়ার থেকে শুরু করে তামাক উৎপাদন, ইত্যাদি নানান সংস্থায় শেয়ার কিনেছেন তিনি। মুম্বইয়ে ১৫৬ টি কামরার একটি রিজর্টের মালিকও তিনিই।
সকলেই মানেন যে রাধাকিশন দমানি নানান গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে এবং ঝুকিপূর্ণ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতেও দারুণ দক্ষ। প্রায় দুই দশকে দমানির এই উত্থান বলছে, তিনি কিছুটা ঝুঁকি নিয়েছিলেন, আর এরপরেই সফলতা এসেছে তাঁর ভাগ্যে।
দমানির আর একটা বৈশিষ্ট্য হল তিনি সবসময়ে ‘সহজ মানুষ’ হয়ে থাকতে পছন্দ করেন। সবসময় সে জন্য তিনি পরেন সাধারণ পোশাক-পরিচ্ছদ। প্রসঙ্গত, ১৯৯০ সালে রাধাকিশন শেয়ারবাজার থেকে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করেছিলেন। এরপরেই তিনি রিটেইল কারবারে ব্যবসা শুরু করার কথা ভাবেন। জানা যায়, ছোটবেলা থেকেই অ্যাকাউন্টিং পড়াশোনায় আগ্রহ ছিল দমানির। তাঁর তিন মেয়ে রয়েছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.