মুম্বই পুলিশ আধিকারিকদের ঘুষ দেওয়া হত
এনআইএ বৃহস্পতিবার দক্ষিণ মুম্বইয়ের গিরগমের একটি ক্লাব থেকে এই তথ্যগুলি পেয়েছে এবং তা খতিয়ে দেখছে এনআইএ। এইসবের সঙ্গে ধৃত ও সাসপেন্ডেড পুলিশ অফিসার সচিন বেজের ভূমিকা রয়েছে কিনা তাও দেখা হচ্ছে। বেজের ৭ এপ্রিল পর্যন্ত এনআইএ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এনআইএ জানায়, উদ্ধার হওয়া একটি দলিলে দেখা যাচ্ছে যে অফিস ও অফিসারদের পদ উল্লেখ করে নাম দেওয়া হয়েছে এবং তাঁদের নামের পাশে টাকার পরিমাণ বসানো হয়েছে এবং একই জিনিস প্রত্যেক মাসে তালিকা করে লেখা। এনআইএ সন্দেহ করছে যে অফিস ও অফিসারদের এই অর্থ প্রত্যেক মাসে ঘুষ হিসাবে দেওয়া হত।
ক্লাবে ঘন ঘন যাতায়াত ছিল বেজের
এ সম্পর্কে আরও বিশদে তথ্য দেওয়ার আগে এনআইএ ক্লাবের মালিক ও অন্যান্যদের থেকে এই দলিল সম্পর্কে আরও কিছু জানবে। এনআইএর আধিকারিকরা জানান যে প্রয়োজন পড়লে এই তথ্যের পরবর্তী তদন্তের জন্য এটি আয়কর বা সিবিআইয়ের হাতেও তুলে দেওয়া হতে পারে কারণ এনআইএ শুধপ সন্ত্রাস বিরোধী মামলাগুলির তদন্ত করে। এনআইএর তদন্তে এও উঠে এসেছে যে ওই ক্লাবে ঘন ঘন যেতেন বেজ, ওই ক্লাবেই কর্মরত ছিলেন নরেশ গোর ও বিনায়ক শিন্ডে। উভয়ই এখন এনআইএ হেফাজতে রয়েছে।
তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে
এনআইএ বৃহস্পতিবারের তল্লাশি অভিযানে গোরের মাধ্যমে তার ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য সিমকার্ড সহ অন্য তথ্যও উদ্ধার করে। গোর এই সিমকার্ডগুলি গুজরাতের আহমেদাবাদ থেকে নিয়ে আসে এবং তা শিন্ডের মাধ্যমে সে বেজকে দেয়। ওই সিমকার্ডগুলির মধ্যে একটি সিমকার্ড ব্যবহার করে বেজ ফোন করে হিরেনকে, ব্যবসায়ী খুনের আগে এটাই ছিল শেষ ফোন। আম্বানি বোমাতঙ্ক কাণ্ডে ব্যবহৃত গাড়িটি আসলে মনসুখ হিরেনের ছিল, যাঁর দেহ উদ্ধার হয় ৫ মার্চ মুম্বারা শহরের খাঁড়ি থেকে। এনআইএর তদন্তে এও উঠে এসেছে যে হিরেন খুনের পেছনে হাত রয়েছে বেজের। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, হিরেনকে কোনও একটি জায়গায় ডেকে তাঁকে মাদক জাতীয় কিছু খাইয়ে অচৈতন্য করে দেওয়া হয় এবং তারপর খুন করা হয়। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি হিরেনের এসইউভি গাড়ি উদ্ধার হয় আম্বানির বাড়ির সামনে থেকে, যার ফেতর ২০টি জিলেটিন স্টিক ছিল।
হিরেন খুনের তদন্তে এটিএস
এই ঘটনায় সচিন বেজ গ্রেফতার হয় ১৫ মার্চ এবং বেজের এনআইএ হেফাজত ৭ এপ্রিল পর্যন্ত। মহারাষ্ট্রের এটিএস হিরেন মামলার তদন্তে নেমে গোর ও শিন্ডেকে গ্রেফতার করে। যেহেতু এই হিরেন খুনের মামলার তদন্ত এনআইএ করছে তাই উভয় অভিযুক্ত ১০ এপ্রিল পর্যন্ত এনআইএ হেফাজতে থাকবে।