হায়দরাবাদ : করোনার বছর পূর্তিতেও দেশজোড়া সংক্রমণের দাপট। মারণ ব্যাধির দ্বিতীয় ধাক্কায় জনজীবন পর্যদ্যস্তু হওয়ার উপক্রম। অদৃশ্য ব্যাধিকে রুখতে ইতিমধ্যে দেশের বেশকিছু রাজ্যে জারি হয়েছে নাইট কার্ফু, চলছে পকেট লকডাউন। আর এই অবস্থায় বিয়ে বাড়ির নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ৮৭ জন নিমন্ত্রিত অতিথি।
সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে তেলঙ্গানার নিজামবাদ জেলার হনমাজিপেট গ্রামে। সেখানে একটি বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠান চলছিল। ওই বিয়ে বাড়িতে নিমন্ত্রিত ছিলেন মোট ৩৭০ জন অতিথি৷ তাঁদের মধ্যে ৮৭ জনের করোনা টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তেলেঙ্গানার স্বাস্থ্য দফতর।
জানা গিয়েছে, সোমবার ওই বিয়ে বাড়িতে আমন্ত্রিত অতিথিদের কোভিড টেস্ট করা হলে তাঁদের মধ্যে ৮৭ জনের শরীরে করোনার জীবাণু মেলে। বর্তমানে ওই গ্রামেই একটি আইসোলেশন সেন্টার চালু করে সংক্রমিত রোগীদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ওই একই জেলার পাশের গ্রাম সিদ্ধপুরের বেশ কিছু বাসিন্দাও ওই বিয়েতে এসেছিলেন। এদিন তাঁদেরও করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। বর্তমানে তাঁরা নিজামাবাদের একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে ওই গ্রামে একটি কোভিড আইসোলেশন শিবিরও চালু করা হয়েছে।
অন্যদিকে দেশেও লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণের মাত্রা। সোমবার পূর্বের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে দেশের করোনাগ্রাফ। গত বছর করোনাভাইরাস মহামারীটি শুরু হওয়ার পর থেকে এই প্রথম দেশে একদিনে করোনা আক্রান্ত হল ১ লক্ষ ৩ হাজার ৭৯৪ জন। একদিনে করোনা সংক্রমণের নিরিখে এটাই ভারতের সর্বাধিক সংক্রমণ।
একদিনে দৈনিক সংক্রমণ ১ লক্ষ পার করার পর ভারতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১ কোটি ২৫ লক্ষ ৮৭ হাজার ৯২১ জন। এক্টিভ কেসের সংখ্যা দাঁড়াল ৭ লক্ষ ৩৭ হাজার ৮৭০ জন।
 সংক্রমণের বেশিরভাগটাই যে মহারাষ্ট্রের সেটা বলাই বাহুল্য।গতকালই দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৫৭ হাজার পার করেছে । মুম্বই শহরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ৫২ হাজার ৪৪৫ জন। ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে ২৫ জনের।মহারাষ্ট্রে দ্রুত হারে করোনার সংখ্যা বাড়তে থাকায় রাতের কার্ফু-সহ বেশ কিছু কড়া সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন রাজ্য সরকার। রাত্রিকালীন কার্ফু শুরু হবে রাত ৮ টা থেকে সকাল সাতটা পর্যন্ত।মহারাষ্ট্র ছাড়াও দিল্লি, পাঞ্জাব, হরিয়ানা,কর্ণাটক, কেরল, ছত্তিশগড়, চণ্ডীগড়, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশর মতো রাজ্যগুলিতেও হুহু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।