রাইপুর: ছত্তিশগড়ের সুকমায় বিজাপুর এলাকায় মারাত্মক নকশাল হামলায় ২২ জন নিরাপত্তা কর্মীর প্রাণহানির পর ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল বলেছেন যে, নকশালদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং নকশাল-আক্রান্ত অঞ্চলে শিবির স্থাপনের কাজ চলবে। খুব দ্রুত এই কাজ সম্পন্ন করা হবে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের জওয়ানরা লড়াইয়ে শহিদ হয়েছে, তারা সাহসের সঙ্গে লড়াই করেছে। আমি তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে তিনি আরও বলেন, নকশালদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ের জন্য সুরক্ষা বাহিনী দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। জওয়ানরা তাদের ঘরে গিয়ে তাদের সঙ্গে লড়াই করেছে। সুরক্ষা বাহিনী এবং নকশালদের লড়াইয়ে বিজাপুরের নকশালদের উপযুক্ত জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনারা। জওয়ানদের পালটা গুলিতে প্রায় ২৫-৩০ জন নকশালের মৃত্যু হয়েছে। তিনটি ট্রাকে করে দেহ নিয়ে আসা হয়েছে।
তিনি আরোও বলেন, শনিবার প্রায় ২০০০ নিরাপত্তারক্ষী মাওবাদীদের ধরতে অভিযান চালান৷ ওই অভিযান চলে সুকমা ও বিজাপুর জেলায়৷ এরপর শনিবার দুপুর ১২টা নাগাদ আচমকা মাওবাদীরা গুলি চালাতে শুরু করে৷ দীর্ঘক্ষণ দুই পক্ষের মধ্য়ে গুলি বিনিময় চলে৷ এই ঘটনায় প্রায় ২৫-৩০ জন নকশালের মৃত্যু হয়।
অপরদিকে বিজাপুরে জওয়ানদের উপর যেভাবে হামলা চালিয়েছে মাওবাদীরা, তাতে গোয়েন্দা ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।সেই দাবি উড়িয়ে দেন সিআরপিএফ প্রধান। তাঁর দাবি, জওয়ানদের পালটা গুলিতে প্রায় ২৫-৩০ জন নকশালের মৃত্যু হয়েছে। কুলদীপ সিং বলেন, “অভিযানে নিহত নকশালদের সঠিক সংখ্যা এখনই বলা সম্ভব নয়। তবে তা ২৫-৩০ জন হবেই। তিনটি ট্রাকে করে দেহ নিয়ে আসা হয়েছে।” উল্লেখ্য, পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে সিআরপিএফের ডিরেক্টর জেনারেল কুলদিপ সিং আজ সকালে ছত্তিশগড়ে পৌঁছেছেন।
মূলত শনিবার ছত্তিসগড়ের নকশাল অধ্যুষিত অঞ্চলে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছিল প্রায় ২০০০ নিরাপত্তারক্ষী৷ আচমকা নকশালরা গুলি চালাতে শুরু করে৷ মাওবাদীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে শনিবারই প্রাণ হারান পাঁচ জওয়ান৷ এরপর গতকাল মৃত জওয়ানের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২২৷ আরও ২৩ জনকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.