কলকাতা: রাজ্যে একদিকে যেমন ভোটের দৌঁড় শুরু, তেমন অন্যদিকে পাল্লা দিয়ে দৌড়াচ্ছে করোনাও। দিন দিন বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। করোনা আক্রান্তের নিরিখে মহারাষ্ট্র বা দিল্লির মতো উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হতে যে বেশি সময় লাগবে না বাংলায় তা বলাই যায়। এই রাজ্যে আবার বাড়লো করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। যে হরে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা তাতে বলা যায় যে ২০০০ ছুঁতে আর বেশি সময় লাগবে না। গরম যেই বাড়তে শুরু করেছে অমনি আবার মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে করোনা।

শনিবার রাজ্যে ১,৭৩৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। আজ এই সংখ্যাটি নতুন করে বেড়ে হলো ১৯৫৭। একদিনে রাজ্যে এই মারণ ভাইরাসের বলি ৫ জন। রবিবার রাজ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তরফে পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী ৪ঠা এপ্রিল পর্যন্ত রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫,৯৩,৬১৫। রবিবার অর্থাৎ ৪ঠা এপ্রিল ২৬,৭৬৮ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। অর্থাৎ গতকালের তুলনায় রাজ্য জুড়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা আজ বেড়েছে ১৯৫৭। শনিবার সুস্থতার হার ছিল ৯৬. ৭৬ % কিন্তু সেখানে রবিবার সুস্থতার হার কমে হয়েছে ৯৬.৫৫%।

আরো পোস্ট- ১০০ বছরেরও বেশি বাঁচেন এরা! রহস্য কী…

রবিবার সবথেকে বেশি করোনা আক্রান্ত হয়েছে কলকাতার বাসিন্দারা। এর পরের স্থানেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা। রবিবার কলকাতায় মৃত্যুর সংখ্যা সর্বাধিক যা পৌঁছেছে ৩১৩০-এ। এরপরই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। এছাড়া দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরসহ আরো কিছু জেলা রয়েছে সংকটপূর্ণ পরিস্থিতিতে।

এই পরিস্থিতিতে রবিবার একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। করোনা পরীক্ষা, টিকাকরণ, চিকিৎসার উন্নয়নকে মাথায় রেখেই এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

গোটা দেশেই করোনার সেকেন্ড ওয়েভ হুড়মুড়িয়ে এসে পড়েছে। এর জেরে এদিকে আবার দেশের নানা রাজ্যে শুরু হয়েছে লক ডাউন। এই দৃশ্য যেন গত ২০২০ সালেরই পুনরাবৃত্তি। নাগরিকদের একাংশের চরম অসচেতনতামূলক ও দায়িত্বহীন আচরণই এর জন্যে দায়ী বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।