জোহানেসবার্গ: রানিং বিটুইন দ্য উইকেট কোনও ব্যাটসম্যানকে শব্দ দ্বারা প্রভাবিত করা কিংবা ছল-চাতুরির আশ্রয় নিয়ে বিভ্রান্ত করা, অথবা ব্যাটসম্যানের রান নিতে বাধা সৃষ্টি করা আইসিসি’র সংবিধানের এক্কেবারে পরিপন্থী। বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থার রুলবুকের ৪১.৫ ধারায় স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে বিষয়টি। অথচ জোহানেসবার্গে রবিবার কী সেই নিয়ম বিরুদ্ধ কাজটাই করে বসলেন না প্রোটিয়া উইকেটরক্ষক কুইন্টন ডি’কক? জোরালো হচ্ছে প্রশ্ন।

দক্ষিণ আফ্রিকার ছুঁড়ে দেওয়া ৩৪২ রানের লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে অন্তিম ওভারে পাকিস্তানের তখন প্রয়োজন ৩০ রান। দ্বিশতরান থেকে মাত্র ৮ রান দূরত্বে দাঁড়িয়ে পাক ওপেনার ফকহর জামান। লুঙ্গি এনগিদির প্রথম বলটা লং-অফে ঠেলে প্রথম রানটা নির্বিঘ্নেই সম্পন্ন করেন ফকহর। কিন্তু দ্বিতীয় রান পূর্ণ করার আগে পাক ব্যাটসম্যানকে বিভ্রান্ত করেন প্রোটিয়া উইকেটরক্ষক কুইন্টন ডি’কক। তিনি পিচের সোজাসুজি হাত তুলে এমন ইশারা করেন যেন থ্রো-টা লং অফ থেকে নয় বরং লং অনের কাছাকাছি কোনও অঞ্চল থেকে আসছে।

ব্যস, ফাঁদে পা দিয়ে বসেন ফকহরও। ডি’ককের ইশারা মতো পাক ব্যাটসম্যান পিছনে ফিরে দেখতেই লং অফ থেকে এইডেন মার্করামের থ্রো এসে উইকেট ভেঙে দেয়। ক্রিজে পৌঁছতে ব্যর্থ হন পাক ওপেনার। এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠে গিয়েছে ডি’ককের ক্রিকেটীয় স্পিরিট নিয়ে। আইসিসি’র রুলবুকের পরিপন্থী হওয়া সত্ত্বেও কীভাবে এটি করলেন প্রোটিয়া উইকেটরক্ষক, তা নিয়ে উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া।

ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে টুইটারে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন প্রাক্তন স্পিডস্টার শোয়েব আখতারও। ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’ মাইক্রোব্লগিং সাইটে অনুরাগীদের জন্য একটি পোল চালু করেছেন। যেখানে তিনি প্রশ্ন রেখেছেন, ‘কুইন্টন ডি’ককের এই রান আউট কী ক্রিকেটীয় স্পিরিটের পরিপন্থী নয়?’ সেখানে পক্ষে কিংবা বিপক্ষে নিজের মত জানাতে পারবেন অনুরাগীরা। তবে পাক সমর্থকেরা সোশ্যাল মিডিয়ায় একজোটে বলছেন ডি’কক প্রতারণা করেছেন রান আউটটি করার ক্ষেত্রে। এখন দেখার অন-ফিল্ড আম্পায়ারদের অভিযোগের ভিত্তিতে ম্যাচ রেফারির রিপোর্টে ঘটনাটির উল্লেখ থাকে কীনা।

যদি থাকে, সেক্ষেত্রে শাস্তির মুখে পড়তে পারেন কুইন্টন ডি’কক। ১৯৩ রানে জামান আউট হওয়ার পর এদিন লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছতে পারেনি পাকিস্তান। ১৭ রানে ম্যাচ জিতে তিন ম্যাচের সিরিজে সমতা ফেরায় দক্ষিণ আফ্রিকা।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।