গুয়াহাটি : করোনার এক বছর ঘুরলেও দিন যত এগোচ্ছে ততই উপরের দিকে ব্যাটিং হাঁকাচ্ছে সংক্রমণ। দিন যত যাচ্ছে ততই উদ্বগ বাড়াচ্ছে দেশের করোনা পরিস্থিতি। যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে দৈনিক আক্রান্ত ফের লক্ষাধিক হওয়াটা শুধু সময়ের অপেক্ষা। শুধু মাত্র গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯৩ হাজারেরও বেশি মানুষ। আর এই উদ্বেগকজনক পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে রীতিমতো বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন খোদ অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্বশর্মা।
বিজেপি নেতা তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এমন মন্তব্যে শোরগোল ফেলে দিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। জানা গিয়েছে ,শনিবার একটি সাক্ষাৎকারে করোনা নিয়ে করা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “কোভিড -১৯ এর বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা হিসাবে আসামের লোকদের মাক্স পড়ার আর দরকার নেই। কারণ মারাত্মক ভাইরাল এই রোগটি রাজ্যে আর নেই। তাই মাক্স না পরলেও চলবে৷ অযথা মাক্স পড়ে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি না করায় উচিত।”
তিনি আরও বলেন, “করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্র অনেক গাইডলাইন দিচ্ছে। নানারকম বিধিনিষেধও জারি করেছে৷ জনগণকে মাক্স ব্যবহারের কথাও বলছে সরকার। তবে অসমে এখন আর করোনার দাপট নেই। তাই সাধারণ মানুষকে আপাতত মাক্স না পড়লেও চলবে। রাজ্যে ফের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়লে সবাইকে মাক্স পরতে বলব।”
ইতিমধ্যে দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে কোভিড -১৯ সংক্রান্ত বিধিনিষেধ জোরদার করার পরেও কেন তিনি মাক্স পরার দরকার নেই বলছেন? এই প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “যদি মাক্স পরার দরকার না থাকে তাহলে আমি কী করব?” শুধু তাই নয়, অসমবাসীর আর মাক্স পড়ার দরকার নেই সেই কথার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি আরও অনেক যুক্তি খাড়া করেছেন। তিনি বলেন, “করোনা মহামারীর কারণে রাজ্যের অর্থনীতির বেহাল দশা৷ সরকারের এখন একটাই লক্ষ্য ভেঙে পড়া অর্থনীতির কোমড় সচল করা।”
তিনি বলেন, ” সবাই যদি মাক্স পরে বসে থাকে, তাহলে বিউটি পার্লারগুলি কীভাবে চলবে? বিউটি পার্লারদের অবশ্যই কাজ করা উচিত। সুতরাং, আমি সবাইকে বলছি এখন আর মাক্স পরার দরকার নেই। কোভিড -১৯ আবার ছড়িয়ে পড়ছে বলে যেদিন আমি মনে করব সেদিন আবার সবাইকে মাক্স পড়তে বলা হবে। তারপরে যদি কেউ এই নিয়ম লঙ্ঘন করে তাহলে ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হবে।”
এছাড়াও তিনি আরও বলেন, ” আসন্ন বিহু উৎসবের উপরেও কোনও বিধিনিষেধ থাকবে না এবং এটি সমারোহে উদযাপিত হবে। তিনি বলেন, “অভি হাম লগ বিহু ভী করনে জা রহে হৈদূম ধাম সমুর মেরা বিশ্বাস হৈ বিহু মুখ্য কোভিড নাহি হোগা (শীঘ্রই, আমরা বিহুকেও মহা আড়ম্বর ও আনন্দের সঙ্গে উদযাপন করবো। আমি বিশ্বাস করি যে, বিহুতেও কোভিড -১৯ এর সংক্রমণ ছড়াবে না।”
যদিও একজন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর এমন বক্তব্য পেশের আগে তিনি কোনও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়েছেন কিনা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এই বিষয়ে আর কারও পরামর্শ নেওয়ার দরকার নেই । গত একবছরে করোনাকে আমরা খুব কাছ থেকেই দেখেছি। ফলে অযথা লকডাউন, মাক্স এই সব বলে নতুন করে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করার কোনও মানে হয় না। এখন অর্থনীতির দিকে বেশি করে ফোকাস করার দরকার। তবে রাজ্যে নতুন করে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়লে অবশ্যই সবাইকে মাক্স ব্যবহার করতে বলব। এছাড়াও আপাতত করোনা নিয়ে কেন্দ্রের গাইডলাইন মেনে চলা উচিত।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.