মুম্বই ও মহারাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতি
এদিন মুম্বই শহরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪, ৫২, ৪৪৫ জন। ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে ২৫ জনের। সেখানে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১১,৭৭৬ জন। ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫২৬৩ জন। সব মিলিয়ে সেখানে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যাটা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮, ০৫২ তে। মুম্বইতে সুস্থতার পরিমাণ ৮২ শতাংশ। আর দ্বিগুণ হচ্ছে ৪২ দিনে।
গত ২৪ ঘন্টায় মহারাষ্ট্রে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। রাজ্যে একদিনের মৃত্যু হয়েছে ২২২ জনের। ২৪ ঘন্টায় পুনেতে আক্রান্তের সংখ্যা ১২৪৭২ জন।
মহারাষ্ট্রে শুরু রাতের কার্ফু
মহারাষ্ট্রে দ্রুত হারে করোনার সংখ্যা বাড়তে থাকায় রাতের কার্ফু-সহ বেশ কিছু কড়া সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন রাজ্য সরকার। রাত্রিকালীন কার্ফু শুরু হব্ রাত ৮ টা থেকে সকাল সাতটা পর্যন্ত। সপ্তাহ শেষে অর্থাৎ শুক্রবার রাত আটটা থেকে সোমবার সকাল ৭ টা পর্যন্ত লকডাউন কঠোরভাবে পালন করা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়াও দিনের পাঁচজনের বেশি একজায়গায় জমায়েত করতে পারবেন না। মল, রেস্টুরেন্ট, বার এবং প্রার্থনার স্থানগুলিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে হোম ডেলিভারি এবং অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহ চালু রাখা হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মল, বাসস্ট্যান্ডে করোনার পরীক্ষা করা হচ্ছে। পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং মাস্ক পরার ওপরও গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।
মহারাষ্ট্র এবং মুম্বইয়ে প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা
শুক্রবার এবং শনিবার মুম্বইয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৮৮০০ এবং ৯০০০। অন্যদিকে শনিবার রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫০ হাজারের কাছাকাছি। শুক্রবার আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪৮ হাজারের কাছাকাছি। দেশের আক্রান্তের ৬০ শতাংশই এখন এই রাজ্যের। অন্যদিকে সারা দেশে করোনায় মৃত্যুর ৪৭ শতাংশ এই রাজ্যের। গত ১৪ দিন ধরে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়ে রয়েছে।
উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী
এদিন দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে জানানো হয়েছে, আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা বেশি থাকার কারণে মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব এবং ছত্তিশগড়ে কেন্দ্রীয় দল পাঠানো হবে।