লন্ডন: দিয়োগো জোটার জোড়া গোলে আর্সেনালকে হারিয়েও লিগ খেতাব ধরে রাখার আর কোনও সম্ভাবনা রইল না লিভারপুলের। টানা দ্বিতীয়বার খেতাব জয়ের দৌড় থেকে জুর্গেন ক্লপের দল ছিটকে গিয়েছিল অনেক আগেই। তবুও অঙ্কের বিচারে যেটুকু আশা ছিল সেটা এদিনের ম্যাচে জয় সত্ত্বেও আর রইল না।
অন্য ম্যাচে লেস্টার সিটিকে হারিয়ে শীর্ষে থাকা ম্যাঞ্চেস্টার সিটি যে ফিগারে পৌঁছে গেল তা শেষ আটটি ম্যাচ জিতেও আর ছুঁতে পারবে না রেডস’রা। তবে আগামী চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলার দৌড়ে দারুণভাবে থাকা লিভারপুল এদিন আর্সেনালের ঘরের মাঠে চলতি মরশুমের অন্যতম সেরা পারফরম্যান্সটি উপহার দিল। জোটা ছাড়াও এদিন মরশুমের সর্বাধিক ১৮তম গোলটি এল মোহামেদ সালাহর পা থেকে। তবে সবক’টি গোলই ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে।
মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে মাদ্রিদ উড়ে যাওয়ার আগে এই পারফপরম্যান্স নিঃসন্দেহে আত্মবিশ্বাস জোগাবে ক্লপের দলকে। ওয়েস্ট ব্রমউইচের কাছে চেলসির অবাক হার এদিন লিভারপুলের টপ-ফোর ফিনিশের সম্ভাবনা আরও জোরালো করে। যদিও গানার্সদের বিরুদ্ধে এদিন প্রথমার্ধে ডেডলক খুলতে পারেনি রেডস’রা। ম্যাচের রং বদলে যায় দ্বিতীয়ার্ধে পরিবর্ত হিসেবে দিয়োগো জোটা নামতেই। ৬৪ মিনিটে আলেকজান্ডার আর্নল্ডের বাড়ানো ক্রস বুলেট হেডে জালে জড়িয়ে দেন জোটা।
চার মিনিট বাদে গোল মোহামেদ সালাহর। ফ্যাবিনহোর বাড়ানো থ্রু ধরে বিপক্ষের এক ডিফেন্ডারকে প্রথমে পরাস্ত করেন তিনি। এরপর বিপক্ষ গোলরক্ষককে নাটমেগে পরাজিত করে স্কোরলাইন ২-০ করেন মিশরীয় স্ট্রাইকার। ৮২ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় এবং দলের তৃতীয় গোলটি করেন জোটা। বক্সের মধ্যে সালাহর বাড়ানো পাস ধরে জোরালো শটে ৩-০ করেন রোনাল্ডোর দেশের স্ট্রাইকার। এই জয়ের ফলে সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে চতুর্থস্থানে থাকা চেলসির সঙ্গে পয়েন্টের ব্যবধান কমিয়ে আনল লিভারপুল। ৩০ ম্যাচে লিভারপুলের সংগ্রহে ৪৯ পয়েন্ট, সেখানে চেলসির ঝুলিতে ৫১।
অন্য ম্যাচে বেঞ্জামিন মেন্ডি এবং গ্যাব্রিয়েল জেসুসের করা দ্বিতীয়ার্ধের গোলে লেস্টারকে ২-০ গোলে হারাল সিটি। সেইসঙ্গে লিগ শীর্ষে অবস্থান আরও মজবুত করে নিল স্কাই ব্লুজ’রা। ৩১ ম্যাচে পেপ গুয়ার্দিওলার দলের সংগ্রহে ৭৪ পয়েন্ট।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.