ঢাকা: প্রবল করোনা সংক্রমণের কারণে সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে সাত দিনের টানা বাংলাদেশে পুনরায় লকডাউন। রবিবার তাই বাড়ি ফেরার ভিড় দেখা গিয়েছে বিভিন্ন ফেরি ঘাটে। এই অবস্থায় সন্ধে নামার কিছু আগে কালবৈশাখীর দাপটে ঘটল নৌ দুর্ঘটনা। নারায়ণগঞ্জের কাছে শীতলক্ষা নদীতে লঞ্চ ডুবে ৫০ জনের বেশি যাত্রী নিখোঁজ। অনেকের মৃত্যুর আশঙ্কা বাড়ছে।
কালবৈশাখীর দাপটে অত্যাধিক যাত্রী নিয়ে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষা নদীতে রাবিদ আল হাসান নামে একটি লঞ্চ ডুবে গেছে। এই লঞ্চটি নারায়ণগঞ্জ টার্মিনাল ঘাট থেকে মুন্সীগঞ্জ টার্মিনাল ঘাটে যাচ্ছিল।
রবিবার ঝড়ের কবলে পড়ে নদীতে একটি কার্গো জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা লেগে লঞ্চটি ডুবে যায়। নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল থেকে অর্ধশত যাত্রী নিয়ে লঞ্চটি মুন্সীগঞ্জ টার্মিনাল যাওয়ার পথে মদনগঞ্জ কয়লাঘাট সেতু সংলগ্ন এলাকায় প্রচণ্ড ঝড়ের কবলে পড়ে। বিপরীত দিক থেকে আসা একটি কার্গো জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা লেগে যায়।
কালবৈশাখীর কারণে তখন শীতলক্ষা উত্তাল। ফলে উদ্ধার কাজ শুরু করা যায়নি। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ডুবুরিসহ অন্য কর্মীরা ঘটনাস্থলের দিকে যাচ্ছেন।
সোমবার লকডাউন শুরু। ঢাকার বিভিন্ন ঘাট থেকে যাত্রীরা কোনওরকমে বাড়ি মুখো হচ্ছেন। তেমনই নারায়ণগঞ্জ থেকেও অনেকে গ্রামের বাড়িতে ফিরছেন। লকডাউনের কারণে, সমস্তরকম গণপরিবহণ বন্ধ থাকবে এমনই জানানো হয়েছে। তবে চালু থাকবে জরুরি পরিষেবা পণ্য পরিবহণ।
নতুন করে করোনার ঢেউয়ে বাংলাদেশে ব্যাপক হারে বাড়ছে সংক্রমণ। গত বছর প্রথম লকডাউনের সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বহু মানুষ কর্মস্থল থেকে গ্রামের বাড়িতে ফিরেছিলেন। এবার লকডাউনের আগেই শুরু হয়েছে সেই ভিড়। আর তারই মাঝে শীতলক্ষা নদীতে ঘটল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।
বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদফতর জানাচ্ছে, নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ব্যাপক হারে বাড়ছে। প্রতিদিন ভাঙছে আগের দিনের রেকর্ড। শনিবার পর্যন্ত নতুন করে আরও ৬ হাজার ৮৩০ জন জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মোট ৬ লক্ষ ২৪ হাজার ৫৯৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯ হাজার ১৫৫ জন। আরও মৃত্যুর আশঙ্কা থাকছে।
নতুন করোনা থেকে সুস্থ হয়েছে ২ হাজার ৪৭৩ জন। মোট ৫ লক্ষ ৪৭ হাজার ৪১১ জন করোনা থেকে সুস্থ হলেন বলে জানানো হয়েছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.