নয়াদিল্লি: দেশে ক্রমশই বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। কোনওভাবেই একে ঠেকানো যাচ্ছে না। বরং আগের বছরের চেয়ে এই বছর অনেক দ্রুত হারে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। তাই এই বাড়ন্ত করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ফের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এছাড়া দেশে যে করোনার টিকাকরণ চলছে তা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হবে। মন্ত্রিসভার সচিব, প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি, স্বাস্থ্য সচিব সহ একাধিক কর্তাব্যক্তি উপস্থিত থাকবেন ওই বৈঠকে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৩ হাজার ২৪৯ জন। সংক্রমণ এখন ১ লক্ষের গণ্ডি ছুঁই ছুঁই। গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে এত আক্রান্ত ভারতে হয়নি। ১৯ সেপ্টেম্বরের পর এটিই দেশে সর্বোচ্চ সংক্রমণ। স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর দেশের আটটি রাজ্যে করোনা সংক্রমণের হার ৮১.৪২ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টার রিপোর্ট এই কথাই বলছে। এই রাজ্যগুলি হল মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, ছত্তিশগড়, দিল্লি, তামিলনাড়ু, উত্তর প্রদেশ, পঞ্জাব ও মধ্যপ্রদেশ। সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সবাইকে করোনা বিধি নিয়ন্ত্রণের উপর জোর দিতে বলা হয়েছে। সংক্রমণ এড়াতে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। এছাড়া সামাজিক দূরত্বও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
ক্রমবর্ধমান করোনা সংক্রমণ থেকে একমাত্র এভাবেই সুরক্ষা পাওয়া যেতে পারে। বিজ্ঞানীরা এই দ্রুত সংক্রমণের জন্য মিউট্যান্ট স্ট্রেনকেই দায়ী করেছেন। এইমস-এর ডিরেক্টর ডঃ রণদীপ গুলেরিয়া বলেছেন যে, “ভারতবর্ষ অনেক বড় দেশ। আমরা যদি বলি কেন্দ্রের দ্বারা অনুমোদিত ভ্যাকসিন সকল প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিককে দেওয়া যায় সেক্ষত্রে আরো প্রায় ১০ লক্ষ নাগরিককে ভ্যাকসিন দিতে হবে। সেক্ষেত্রে ২০ লক্ষ ভ্যাকসিন প্রয়োজন হয়ে পড়বে। সেক্ষত্রে এত ডোজ পাওয়ার উপায় নেই। সেক্ষেত্রে ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতা অনুসারে প্রাপ্তবয়সীদের টিকাকরণ করতে হবে।”
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে ২৪ ঘণ্টায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৯৩ হাজার ২৪৯ জন।যা আগের দিনের থেকে কয়েক হাজার বেশি।ফলে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ২৪ লাখ ৮৫ হাজার ৫০৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা ৫১৩ জন। যা গত বছর ডিসেম্বর মাসের রেকর্ডকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন ৬০ হাজার ৪৮ জন। যা দৈনিক আক্রান্তের থেকে অনেকটাই কম। যার ফলে দেশের মোট অ্যাকটিভ কেস একধাক্কায় বেড়ে দাঁড়াল ৬ লক্ষ ৯১ হাজার ৫৯৭ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ১৬ লক্ষ ২৯ হাজার ২৮৯ জন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.