জয়নগর, বেহালা পশ্চিম, দক্ষিণ ২৪ পরগনা : রাজ্যের নির্বাচনী উত্তাপ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। তৃণমূল-বিজেপি আক্রমণ প্রতিআক্রমণে বঙ্গরাজনীতির উত্তাপ আরও বেড়ে চলেছে। প্রতিশ্রুতির বন্যায় ভেসে যাচ্ছে রাজ্যবাসী। তৃণমূল বলছে বিনা পয়সায় রেশন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা পৌঁছে দেব বাড়িতেই। বিজেপি বলছে রাজ্যে ক্ষমতায় এলে সোনার বাংলা বানিয়ে দেওয়া হবে। এই আবহেই রবিবার জয়নগর ও বেহালা পশ্চিমের জনসভা থেকে নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করলেন তৃণমূল নেতা ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সভায় উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, “আপনারা কী চান? বিনা পয়সায় রেশন না বিনা পয়সায় ভাষণ?”

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, “মোদির উন্নয়ন মানে ভাষণ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন মানে বাস্তব। দিদি যা বলেন করেন আর মোদী যা বলেন তা করেন না। মোদী বলছেন ক্ষমতায় আসলে বাংলাকে সোনার বাংলা বানাবে। রাজ্যে ডাবল ইঞ্জিন সরকার হবে। আর দিদি রাজ্যের সব মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসাথী দিচ্ছেন। বিজেপি তোমাদের উন্নয়ন, টাকা বাংলার লাগবে না। মোদী বলছেন বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় এলে কৃষকদের ৬ হাজার টাকা করে দেবেন। ৬ কোটি টাকার গাড়ি চড়ে মোদীবাবু কৃষকদের দিচ্ছেন ৬ হাজার টাকা। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাওয়াই চটি পরে যে কৃষকদের ১ একর জমি আছে তাদের দেবেন ১০ হাজার টাকা করে। এবার বুঝুন উন্নয়ন কে করছেন,আর কে ভাষণ দিচ্ছেন?”

এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লকডাউনের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “অপরিকল্পিত লকডাউন করে কত মানুষের ক্ষতি হয়েছে। কত মানুষের চাকরি চলে গেছে। এসব দিকে মোদীবাবুর নজর নেই। আর লকডাউনের সময় দিদি আপনাদের রেশন দিয়েছেন। আর আমফানের সময় টাকা দিয়ে নরেন্দ্র মোদী কথা শোনাচ্ছেন। কার টাকা দিয়েছেন আপনি? বিজেপি-র বাবার টাকা ?”

অভিষেকের কথায় এদিন একটা জিনিস স্পষ্ট হয়ে যায় যে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোতে কোনও রাজ্যের সরকার আর কেন্দ্রের সরকার এক না হলে সেই রাজ্যকে কেন্দ্র সাহায্য করা থেকে বিরত থাকতে পারে না। অথচ প্রধানমন্ত্রী এসে বলে যাচ্ছেন রাজ্যে বিজেপি সরকার এলে ডাবল ইঞ্জিন সরকার হবে। বাংলাকে সোনার বাংলা বানাবে, ইটা কি করে সম্ভব? নিজের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে এই প্রশ্ন তুলে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

এই প্রসঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমনকল্যান লাহিড়ী বলছেন, “ডাবল ইঞ্জিন সরকার বলে নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ যা বলছেন সেটা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোতে চলে না। এটা শুধুই রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য বলা হচ্ছে। এটা কোনও ভাবেই যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোতে চলে না।”

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।