নয়াদিল্লি: ভারতে বিদ্যুতের গতিতে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ।দেশের প্রত্যেকটা নাগরিককে কোভিড বিধি মেনে চলার নির্দেশ জারি করেছে কেন্দ্র। এহেনপরিস্থিতিতে ২১ টি গাইডলাইন অনলাইনে ভাইরাল হয়েছে। দাবি করা হয়েছে এই নির্দেশিকা ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ প্রকাশ করেছে। ভুয়ো এই নির্দেশিকা অনুসারে বিশ্বব্যাপী মহামারী থেকে নিরাপদ থাকতে আগামী ছয় থেকে বারো মাসের মধ্যে কিছু বিষয় অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। তার মধ্যে কয়েকটি হল –
১. দুবছর বিদেশ ভ্রমণ করা যাবে না।
২. এক বছর বাইরের খাবার খাওয়া যাবে না।
৩. কোনো সামাজিক অনুষ্ঠান যেমন বিয়ে বাড়ি, পার্টি যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
৪. কারণ ছাড়া দূরে কোথাও ঘুরতে যেতে মানা করা হয়েছে।
৫. কোনো ভিড়যুক্ত এলাকায় কমপক্ষে এক বছর যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
এমন কিছু পরামর্শ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপে শেয়ার করা হয়েছে।তবে আইসিএমআরের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এমন কোনও পরামর্শ প্রকাশ করা হয়নি এবং এটি একটি জাল নির্দেশিকা বলে জানিয়েছে আইসিএমআর।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছিল যে, খাওয়ার সময় ভালো করে হাত ধুতে হবে, এমনকি খাবারের প্যাকেট খোলার পরেও সঠিকভাবে হাত ধুতে বলা হয়েছিল। তবে এইভাবে এক বছর বাইরে না খাওয়ার দাবী একেবারেই মিথ্যে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দ্বারা জারি করা নির্দেশিকা
১. সাবান-জল, অ্যালকোহল বেসড স্যানিটাইজার দিয়ে বারবার হাত পরিষ্কার করতে হবে।
২. কেউ হাঁচি বা কাশি দিলে তার থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
৩. শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব না হলে মাস্ক পড়তে হবে।
৪. বারবার চোখ, নাক বা মুখ স্পর্শ করবেন না।
৫.যখন হাঁচি বা কাশি দেবেন নাক মুখ কনুই বা টিস্যু দিয়ে চাপা দেবেন।
৬. অসুস্থ বোধ করলে বাড়িতেই থাকুন।
৭. জ্বর, কাশি এবং শ্বাস নিতে সমস্যা হয় তবে চিকিৎসকের সাহায্য নিন।
কলকাতা ২৪x৭ এর পক্ষ থেকে সকলকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা মেনে চলার আর্জি জানানো হচ্ছে। ভুয়ো খবরে বিশ্বাস করবেন না। সুরক্ষিত থাকুন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.