হায়দরাবাদ: সাম্প্রতিক সময়ে দেশজুড়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে উদ্বেগ বাড়ছে আইপিএল আয়োজন ঘিরে। মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের ১০ জন মাঠকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন মারণ ভাইরাসে। এমন সময় হায়দরাবাদকে আইপিএলের নিরাপদ ভেন্যু হিসেবে ব্যবহার করার প্রস্তাব দিলেন এইচসিএ প্রেসিডেন্ট মহম্মদ আজহারঊদ্দিন। বিসিসিআই’কে নিরাপদে ম্যাচ আয়জনের জন্য হায়দরাবাদ ভেন্যুকে প্রয়োজনে ব্যবহার করার কথা জানিয়েছেন প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক।

প্রাথমিকভাবে আইপিএলের যে ৬টি ভেন্যুকে ২০২১ আইপিএলের জন্য বেছে নিয়েছে সেখানে উপেক্ষিত হায়দরাবাদ। কিন্তু ওয়াংখেড়েরর ঘটনার পর হায়দরাবাদ এবং ইন্দোরকে বিসিসিআই স্ট্যান্ড-বাই ভেন্যু হিসেবে বেছে রেখেছে বলে যে জল্পনা দানা বেঁধেছিল, আজহারের প্রস্তাবে সেই জল্পনা আরও জোরালো হল। এদিন এক টুইটে হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহম্মদ আজহারঊদ্দিন লেখেন, ‘এই কঠিন সময়ে একে অপরের সাহায্যে আরও বেশি করে এগিয়ে আসা প্রয়োজন। হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন নিরাপদ ভেন্যু হিসেবে আইপিএল ২০২১ ম্যাচগুলি আয়োজনের জন্য বিসিসিআই’কে পরিষেবা দিতে প্রস্তুত।’

পিটিআই’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হায়দরাবাদকে স্ট্যান্ড-বাই ভেন্যু হিসেবে রাখার বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন এক বিসিসিআই আধিকারিকও। তিনি জানিয়েছেন, ‘হ্যাঁ, হায়দরাবাদকে আমরা স্ট্যান্ড-বাই ভেন্যু হিসেবে ভেবে রেখেছি। তবে এখনই মুম্বই থেকে ম্যাচ সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কোনও চিন্তাভাবনা নেই। অল্প সময়ে সেখানে আরেকটা জৈব বলয় তৈরি করার বিষয়টি মুখের কথা নয়।’

এদিকে ১০ জন মাঠকর্মী আক্রান্ত হলেও ওয়াংখেড়েতে আইপিএলের ম্যাচগুলি আয়োজন নিয়ে কোনওরকম সংশয় নেই বলে জানিয়েছে মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। ইতিমধ্যেই মাঠকর্মীদের জন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। তারা জানিয়েছে, মাঠকর্মীদের অধিকাংশই ট্রেনে নিত্যদিন যাওয়া-আসা করে থাকেন। তাই আইপিএলের ম্যাচগুলি চলাকালীন স্টেডিয়ামেই মাঠকর্মীদের থাকার বন্দোবস্ত করতে চলেছে এমসিএ। এক এমসিএ আধিকারিকের কথায়, ‘তড়িঘড়ি মাঠকর্মীদের জন্য আমরা মাঠেই থাকার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চলেছি। স্টেডিয়ামেই প্রচুর ঘর রয়েছে যেখানে তারা থাকতে পারবেন।’

তবে পিচ প্রস্তুত করতে স্টেডিয়ামের পিচ কিউরেটরকে সহযোগীতার জন্য অতরিক্ত কোনও মাঠকর্মী প্রয়োজন কীনা সে বিষয়টা আলোচনা করে দেখবে এমসিএ। বান্দ্রা-কুরলা কমপ্লেক্স এবং কান্দিভিলিতে ইন-হাউস যে সকল মাঠকর্মীরা রয়েছেন, প্রয়োজনে তাদেরও ডাকা হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে মুম্বই ক্রিকেট আসোসিয়েশন।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।