স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: কয়লা ও গরু পাচার কাণ্ডে সরাসরি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ তিনি দাবি করলেন, “কয়লা ও গরু পাচারের ৯০০ কোটি টাকা ভাইপোর কাছে গিয়েছে৷ তাঁর কাছে টাকা পৌঁছে দিতেন বিনয় মিশ্র৷”
কয়লাকাণ্ডে বাঁকুড়া থানার আইসি অশোক মিশ্রকে রবিবার ইডি গ্রেফতার করতেই কোমড় বেঁধে আসরে নেমে পড়ল বিজেপি৷ রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপি দাবি করল, কয়লা-গরু পাচার কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপোকে কেন্দ্র করে অনেকগুলি কথোপকথন সামনে এসেছে৷ এদিন শুভেন্দু বলেন, “ভাইপো এবং বিনয় মিশ্রের কথোপকথন প্রকাশ্যে এসেছে৷ কয়লা এবং গরু পাচারের প্রায় ৯০০ কোটি টাকা ভাইপোকে পাইয়ে দিয়েছে বিনয় মিশ্র, অশোক মিশ্রের চক্র৷ পুলিশের একাংশ ওই চক্রে জড়িত রয়েছে৷ বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার দুর্নীতিতে জড়িয়ে রয়েছে৷ এবার দুর্নীতিতে ইতি টানা প্রয়োজন৷” শুভেন্দু আরও দাবি, “ভোটে পাচারের টাকা বিলি করা হয়েছে৷” তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী দায়িত্ব এড়াতে পারেন না৷”
তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া দীনেশ ত্রিবেদীও দুর্নীতি ইস্যুকে নিজের পুরোনো দলকে বিঁধেছেন৷ বলেছেন, “এই দুর্নীতি হিমশৈলের চূড়া মাত্র৷ বাংলাকে অসার করে দিয়েছে তৃণমূল৷” বিজেপির আইটি সেলের নেতা অমিত মালব্যর দাবি, “টাকা প্রতি মাসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাচারের ৪০ কোটি টাকা পাঠানো হত৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দায়িত্ব এড়াতে পারেন না৷”
রাজ্যে কয়লা খনিতে অনিয়ম ও লাগাতার কয়লা চুরির অভিযোগ উঠেছে। যার তদন্তে নেমে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে গোয়েন্দাদের হাতে। যার জেরে নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে অভিষেক পত্নী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সিবিআইয়ের অভিযোগ, কয়লা-কাণ্ডে অভিষেকের স্ত্রী-র ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। এ ব্যাপারে রুজিরার বয়ান নিয়েছেন তাঁরা। এছাড়াও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরকে কয়লাকাণ্ডে বিদেশের অ্যাকাউন্টে আর্থিক লেনদেন নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, মেনকা ব্যাংকক অ্যাকাউন্টে বেশ কিছু আর্থিক লেনদেন হয়েছে। এছাড়া তাঁর লন্ডনের অ্যাকাউন্টেও সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেন নিয়ে মেনকাকে প্রশ্ন করা হয়। বিদেশের অ্যাকাউন্টে আর্থিক লেনদেন থেকে শুরু করে ব্যবসা, একাধিক বিষয়ে মেনকা গম্ভীরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, তাঁর থেকে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছেন অফিসাররা।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.