স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: ভোটের আগে তুমুল উত্তেজনা ছড়াল বেহালা পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রে। বিজেপি প্রার্থী পায়েল সরকারের মিছিলে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে৷ অভিযোগ অস্বীকার করে পায়েলকে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল প্রার্থী রত্না চট্টোপাধ্যায়৷
রবিবার সকালে প্রচারে বেরিয়ে বাধার মুখে পড়ে পায়েল সরকার৷ বিজেপি-র অভিযোগ, তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা প্রার্থীকে লক্ষ্য করে গালিগালাজ শুরু করেছে। পায়েলকে ঘিরে ‘খেলা হবে’ স্লোগান দিতে থাকেন তৃণমূল কর্মীরা। তারা বিজেপি-র মহিলা কর্মীদের ব্যাপক মারধর করেছেন বলেও অভিযোগ। অভিযোগ উড়িয়ে রত্না বলেন, ‘‘সিনেমা বা রঙ্গম়ঞ্চে এসব নাটক চলে। রাজনীতির ময়দানে চলে না। তাই এখানে এসব না করে বরং তিনি তাঁর কাজে ফিরে গিয়ে নাটক করুন। বেহালা-পূর্ব নাটকের জায়গা নয়।’’ পাল্টা বিজেপি-র দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে রত্না বলেন, ‘‘আমাদের কর্মীরা কেউই ওদের প্রার্থীকে প্রচার করতে বাধা দেননি বা মারধর করেননি। বরং ওদের লোকেরাই আমাদের একজনকে ব্যাপক মারধোর করেছে৷ আমাদের একজন মহিলাকে এতটাই মারা হয়েছে তাঁকে বিদ্যসাগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ এলাকায় অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি’।
আরও পড়ুন: ‘ওজন বেড়ে যাচ্ছে, হাঁটতে না পারলে আমার কষ্ট হয়’- আক্ষেপ মমতার
পায়েল সরকার অভিযোগ জানিয়ে বলেন, ঠাকুরপুরকুরে প্রচারে বাধা দিয়েছে তৃণমূলের গুন্ডারা। বিজেপির মহিলা কর্মীসহ ১০ থেকে ১৫ জন আহত হয়েছেন। এদিন ঠাকুরপুকুর থানার সামনে ধরনা দিয়েছেন পায়েল সরকার ও বিজেপির বাকি কর্মীরা। এর জেরে ডায়মন্ডহারবার রোডে ব্যাপক যানজট হয়। ঘটনাস্থলে যায় পুলিশের বাহিনীও। বিষয়টি কমিশনে জানানো হবে বলেও সংবাদমাধ্যমকে জানায় বিজেপি নেতৃত্ব। এদিন তৃণমূল প্রার্থী রত্না চট্টোপাধ্যায়কে ঘিরে পালটা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনিও দেওয়া হয় এলাকায়।
উল্লেখ্য, এবার বেহালা পূর্বে টানটান লড়াই। তৃণমূলের হয়ে এই আসনে লড়ছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়। অন্যদিকে, বিজেপির প্রার্থী অভিনেত্রী পায়েল সরকার। দু’জনই প্রথমবার নির্বাচনে লড়ছেন। জেতার ব্যাপারে দু’পক্ষই চরম আত্মবিশ্বাসী।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.