প্রায় ১০ বছর আগে সিপিআইএম বর্ধমানের জমি হারিয়েছে। তৃণমূল ও বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বেড়েছে প্রবল। তুলনায় সংযত বামেরা। এমনই দাবি এলাকাবাসীর। ভোট লড়াইয়ে পৃথা কতটা সফল হবেন তার উত্তর জমা হবে ইভিএমে। তবে প্রচারে বাম প্রার্থী যে বাকি দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দলের কাছে চিন্তার তাও স্পষ্ট করছেন তৃণমূল ও বিজেপি নেতাদের একাংশ।
প্রচারে পৃথা ভোটারদের বলেছেন, কাকে ভোট দেবেন সেটা আপনার অধিকার। কিন্তু মনে রাখবেন ইভিএমের বোতামটা তৃণমূলের কোনও দাদা যেন টিপে না দেন। সেটা টেপার দায়িত্ব এবং অধিকার আপনাদেরই।
পৃথা বলেছেন, একটা বালি কারবারী এই কেন্দ্রে দাঁড়িয়েছেন। তিনি ভোটারদের হাতে ৫০০ টাকার নোট গুঁজে দিচ্ছেন। কিন্তু মনে রাখবেন, তিনি এই ৫০০ টাকার বদলে অনেক টাকা কামিয়েছেন। তাই ওই টাকা নেবেন না। ভোট কাকে দেবেন সেটা আপনাদের বিষয়। কিন্তু মনে রাখবেন, কোনও তোলাবাজ, সারদা, নারদার চিটিংবাজদের হাতে বর্ধমানকে তুলে দেবেন না।
উল্লেখ্য, কদিন আগেই বর্ধমানের রসিকপুরে বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে এক সরল নিষ্পাপ শিশুর। তার দায় কার। কারা রেখেছিল বোমা – এখনও সেই তদন্ত শেষ করতে পারেনি পুলিশ। প্রকাশ্যে আসেনি কার দায় এই ঘটনার। এই ঘটনায় পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করলেও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তেমন কিছু উদ্ধার করতে পারেনি বর্ধমান পুলিশ। কার্যত গোটা ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগও উঠেছে বিরোধীদের পক্ষ থেকে।
প্রচারে গিয়ে এই দগদগে স্মৃতি উসকে দিয়েছেন পৃথা। জানিয়েছেন, কাদের হাতে বর্ধমান? বস্তুত, দিন যত এগিয়ে আসছে ততই ক্ষুরধার হচ্ছে বামপ্রার্থীর প্রচার।
২০১৬ সালের নির্বাচনে এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। তিনি পেয়েছিলেন ৯১ হাজার ৮৮২টি ভোট। আর সিপিএম প্রার্থী আইনুল হক (বর্তমানে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে) পেয়েছিলেন ৬২ হাজার ৪৪৪ ভোট। বিজেপি প্রার্থী প্রবাল রায় পেয়েছিলেন ১৬ হাজার ১৯২টি ভোট।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী পেয়েছিলেন ৮৫ হাজার ৩০১টি ভোট। সিপিএম প্রার্থী পেয়েছিলেন ১৮ হাজার ৮৪৮টি ভোট এবং বিজেপি প্রার্থী পেয়েছিলেন ৮৩ হাজার ৯৬৩টি ভোট।