আহমেদাবাদ : করোনা ভ্যাকসিন পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। প্রথমে স্বাস্থ্যকর্মী ও করোনা যুদ্ধের প্রথম সারির সৈনিকরা। এরপরে ষাটোর্দ্ধরা। এখন ৪৫ বছরের ওপর বয়েসীরা ভ্যাকসিন পাচ্ছেন। আপনার আমার চেনা শোনা অনেকেই ভ্যাকসিন পেয়েছেন। কিন্তু ভ্যাকসিন নিয়ে দামি উপহার এমনকী সোনার গয়না পেয়েছেন, তেমন শুনেছেন কোথাও?
এরকমই ঘটনা ঘটছে কিন্তু। গুজরাটের রাজকোটে মিলছে এমন দারুণ সব উপহার। করোনা ভ্যাকসিন নিলেই মিলছে সোনার নাকছাবি, মিলছে হ্যান্ড ব্লেন্ডার। অবাক লাগলেও, এটাই সত্যি। সাধারণ মানুষকে ভ্য়াকসিন নিতে উৎসাহিত করতেই এই ব্যবস্থা করেছে গুজরাটের স্বর্ণকার সম্প্রদায়। যারা ভ্যাকসিন নিচ্ছেন তারা প্রত্যেকেই কিছু না কিছু উপহার পাচ্ছেন। তাতে সোনার উপহার যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে দামী হ্যান্ড ব্লেন্ডার।
প্রসঙ্গত করোনার জেরে দেশে টিকাকরণ শুরু হয়েছে গত ১৬ জানুয়ারি থেকে। তার ফলে দেখা যাচ্ছে এখন পর্যন্ত ৭ কোটি ৫৯ লক্ষ ৭৯ হাজার ৬৫১ জনের টিকাকরণ হয়েছে ।
এদিকে, যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে দৈনিক আক্রান্ত আবার লক্ষাধিক হওয়াটা শুধু সময়ের অপেক্ষা।শুধু মাত্র গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনার কবলে পড়েছেন ৯৩ হাজারের বেশি মানুষ। এর বেশিরভাগটাই যে মহারাষ্ট্রের সেটা বলাই বাহুল্য। শনিবারই দৈনিক আক্রান্ত ৫০ হাজারের কাছাকাছি ছিল। মহারাষ্ট্র ছাড়াও দিল্লি, পাঞ্জাব, হরিয়ানা,কর্ণাটক, কেরল, ছত্তিশগড়, চণ্ডীগড়, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশর মতো রাজ্যগুলিতেও হুহু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে ২৪ ঘণ্টায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৯৩ হাজার ২৪৯ জন।যা আগের দিনের থেকে কয়েক হাজার বেশি।ফলে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ২৪ লাখ ৮৫ হাজার ৫০৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা ৫১৩ জন। যা গত বছর ডিসেম্বর মাসের রেকর্ডকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন ৬০ হাজার ৪৮ জন। যা দৈনিক আক্রান্তের থেকে অনেকটাই কম। যার ফলে দেশের মোট অ্যাকটিভ কেস একধাক্কায় বেড়ে দাঁড়াল ৬ লক্ষ ৯১ হাজার ৫৯৭ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ১৬ লক্ষ ২৯ হাজার ২৮৯ জন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.