কায়রো : একটি অভাবনীয় ও ঐতিহাসিক শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে মিশরের রাজধানী কায়রোতে। এই শোভাযাত্রায় অংশ নেবেন নাকি হাজার হাজার বছর আগের ২২ জন শাসক। তাঁরা রয়েছেন মমির মধ্যে। অবাক হচ্ছেন? হ্যাঁ, এমনই ঘটনা ঘটতে চলেছে মিশরে। আসলে প্রাচীন শাসকদের মমি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে নতুন ঠিকানায়।
২২টি স্থানান্তকরণ হওয়া মমির মধ্যে রয়েছেন ১৮ জন রাজা ও চারজন রানি। এতদিন তারা ছিলেন মিসরীয় জাদুঘরে। তাদেরকে রাখা হবে পাঁচ কিলোমিটার দূরে মিসরীয় সভ্যতার ওপর নির্মিত নতুন একটি জাদুঘরে, যার নাম ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব ইজিপশিয়ান সিভিলাইজেশন। এখন থেকে তারা সেখানেই থাকবেন। শোভাযাত্রা করে এই দূরত্ব পাড়ি দেবেন রাজা রানিরা। এতে খরচ হবে কয়েক মিলিয়ন ডলার। এই শোভাযাত্রা অনলাইনেও সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
জানা গিয়েছে, রাজ পরিবারের মর্যাদার কথা বিবেচনা করে এই শোভাযাত্রা উপলক্ষে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আসলে মিশরে মমিকে জাতীয় সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাই এত আড়ম্বর। রাজা রানির মমি কোথায় রাখা হবে সেটা নির্ভর করবে তাদের শাসনকালের ওপর। শাসনকালের ক্রম অনুসারে তাদের মমি নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
এসব রাজা রানির মধ্যে রয়েছেন সপ্তদশ শতাব্দীর রাজা দ্বিতীয় সেকেনেনরে থেকে শুরু করে খৃস্টপূর্ব দ্বাদশ শতাব্দীর রাজা নবম র্যামসেসও। বলা হচ্ছে, শোভাযাত্রায় প্রধান আকর্ষণ রাজা দ্বিতীয় র্যামসেস। তাকে নিয়েই মানুষের বেশি আগ্রহ। তিনি ৬৭ বছর শাসন করেছেন এবং নিউ কিংডমে তিনিই সবচেয়ে জনপ্রিয় ফারাও। বলা হয় যে তিনিই প্রথম কোনও শান্তি চুক্তিতে সই করেছিলেন। আরেকজন রানি হাটসেপসুট। তার সময়ে কোনও নারীর ফারাও হওয়ার প্রথা না থাকলেও তিনি শাসক হয়েছিলেন।
মমিবাহী প্রত্যেকটি গাড়ি সুন্দর করে সাজানো হবে। এছাড়াও রাস্তায় চলার পথে এগুলো যাতে ঝাঁকুনি না খায় সেজন্য বিশেষ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া যে পথে মমিগুলো নিয়ে যাওয়া হবে সেগুলোও মসৃণ করে তোলার জন্য মেরামত করা হয়েছে। তাদেরকে ঘিরে থাকবে মোটরগাড়ির বহর ও ঘোড়ায় টানা রথের রেপ্লিকা। ফারাওদের মৃতদেহ মমি করে রাখার পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়েছে প্রাচীন মিসরে। কিন্তু এই শোভাযাত্রার সময় এসব রাখা হবে নাইট্রোজেন-ভর্তি বিশেষ কিছু বাক্সর ভেতরে। বাইরের আবহাওয়া থেকে মমিগুলোকে রক্ষার জন্যই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এসব মমিকে ১৮৮১ সালে থেকে ১৮৯৮ সালের মধ্যে প্রাচীন মিশরের রাজধানী থিবস থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে এই জায়গাটি লাক্সর নামে পরিচিত। কর্মকর্তারা আশা করছেন, নতুন জাদুঘরে স্থানান্তর করার পর এগুলো সারা বিশ্ব থেকে প্রচুর পর্যটক আকর্ষণ করবে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.