আইপিএলে পূজারা
২০১০ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে আইপিএল অভিষেক হয় চেতেশ্বর পূজারার। ৬টি ম্যাচে ১২২ রান করেন ৩০.৫০ গড় রেখে, স্ট্রাইক রেট ১০৬.০৮। ২০১১ থেকে ২০১৩ অবধি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে ১০টি ম্যাচ খেলেন, রান ১৪৩। গড় ১৪.৩০, স্ট্রাইক রেট ৯৪। কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের হয়ে খেলেছেন ২০১৪ সালে। ৬টি ম্যাচে করেন ১২৫ রান, গড় ২৫, স্ট্রাইক রেট ১০০.৮০। এরপর আর আইপিএল খেলার সুযোগ পাননি। এবার তিনি আইপিএলে নামবেন চেন্নাই সুপার কিংসের জার্সিতে।
পাওয়ারহিটিং নিয়ে
টি ২০-তে তাঁর স্ট্রাইক রেট যে আহামরি নয় তা মেনে নিয়ে পূজারা বলেন, আমি জানি আমি পাওয়ারহিটার নই। তাই বিরাট কোহলির মতো ক্রিকেটারদের দেখে শেখার চেষ্টা করি। রোহিত শর্মাও কিন্তু পুরোপুরি পাওয়ারহিটার নন। তবু টাইমিংয়ের নিরিখে রোহিত আমার মতে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে অন্যতম সেরা। এমনকী কেন উইলিয়ামসন বা স্টিভ স্মিথও কিন্তু ক্রিকেটীয় শট খেলেই সফল। ক্রিকেটীয় শট খেলার ফাঁকে তাঁদের ব্যাটিংয়ে অভিনবত্ব দেখা যায়। সফল হতে গেলে আমাকেও কিছু অভিনবত্ব আনতে হবে বলে মানসিকভাবে আমি তৈরি। তবে ক্রিকেটীয় শট খেলেই যে রান পাওয়া যায়, সফল হওয়া সম্ভব সেটাও বিশ্বাস করি। পাওয়ারহিট খেলতে খেলতেই উন্নত হবে, তবে আমার মতে ক্রিকেটিং সেন্স বা ক্রিকেটীয় ধারণাই মূল বিষয়।
টি ২০ নিয়ে উদ্বেগ
টি ২০ ফরম্যাট নিয়ে তাঁর কেরিয়ারের প্রথম দিকে উদ্বেগের কথাও জানিয়েছেন পূজারা। তিনি বলেন, যখন প্রথম দিকে টি ২০ খেলতাম তখন কিছুটা হলেও আশঙ্কা হতো এই ফরম্যাট আমার টেস্ট ক্রিকেটের উপযোগী টেকনিককে না ক্ষতি করে! আইপিএলের শেষে টেকনিকের কিছু খামতি পুষিয়ে নিতাম। তবে এখন অভিজ্ঞতার সঙ্গে সেই সমস্যা আর নেই। এখন বুঝতে পেরেছি ফরম্যাট বদল হলেও আমার স্বাভাবিক খেলা, আমার শক্তি এ সব একইরকম থাকে। রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে কথা বলে তাঁর আত্মবিশ্বাস বেড়েছে বলেও জানান পূজারা। তিনি জানান, দ্রাবিড় আমাকে বলেছিলেন বিভিন্ন ধরনের শট খেললেও স্বাভাবিক খেলা কখনও বদলায় না। ২০০৫-০৬ মরশুমে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে আমার অভিষেক হয়েছিল। ১৫ বছর হয়ে গেল খেলছি। ফলে এখন টি ২০ খেললেও আমার টেস্ট সিরিজের জন্য প্রস্তুত হতে কোনও অসুবিধাই হবে না।
চ্যালেঞ্জ নিতে মুখিয়ে
চেতেশ্বর পূজারা মনে করেন আইপিএলে হনুমা বিহারীরও দল পাওয়া উচিত ছিল। পূজারার কথায়, লাল বলের ক্রিকেটে সফল ক্রিকেটারের পক্ষে সাদা বলের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া কোনও বড় ব্যাপার নয়। শুধু প্রয়োজনমতো মানসিকভাবে নিজেকে প্রস্তুত রাখতে হয়। তাতে ফরম্যাট বদল হলেও বেশি চাপ অনুভব করতে হয় না। কেন না, টেস্ট ক্রিকেটেও চাপ থাকে। সেখানে উইকেট ধরে রাখা বড় কথা। শুধু টি ২০-র মতো সীমিত ওভারের ফরম্যাটে নিজেকে মেলে ধরে সাধ্যমতো বেশি শট খেলাটাই আসল।