প্রকৃতির মধ্যে রয়েছে এমন অনেক অপরিসীম গুণাগুণ যা সাধারণত আমাদের নজর এড়িয়ে থাকে। আমরা আমাদের নানা শারীরিক সমস্যা সমাধানের জন্য দামী দামী ওষুধপত্রের উপরেই ভরসা করে থাকি। কিন্তু অনেক সময় ওই সব ওষুধ থেকে আমাদের শরীরে দেখা যায় বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া। কিন্তু প্রকৃতি থেকে আমরা পেতে পারি নিরাপদ এবং দীর্ঘমেয়াদি নিরাময়। যা স্বল্পখরচা বা নিখরচায় বলা চলে। কিন্তু আমাদের মাথায় রাখতে হবে প্রকৃতি যখন আমদের নিঃস্বার্থ ভাবে সাহায্য করছে, একই ভাবে আমাদেরও তার প্রতিদান দেওয়া প্রয়োজন রয়েছে।
প্রকৃতির কিছু গাছ পালা এবং উপাদান আছে যা থেকে আপনি পেতে পারেন অসামান্য উপকার। শুধু প্রয়োজন সঠিক উপায় সেগুলির ব্যবহার। জেনে নেওয়া যাক সেগুলি কী কী,
হলুদ: বাঙালি রান্নাঘরের এক অন্যতম মশলা। যাতে আছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এর গুণাগুণ। যা আপনার হৃদয়ের স্বাস্থের জন্য উপকারী। ক্যান্সারের মতো মারণ রোগের বিকাশে বাধা দেয়। এছাড়া আপনার মস্তিষ্কের জন্যেও উপকারী। মাথার যন্ত্রণা কমায়, আপনার মেজাজ ভালো রাখে। হলুদ রোজ রান্নায় দিয়ে খাওয়া তো উচিতই, একগ্লাস দুধে অল্প একটু হলুদ মিশিয়ে পান করুন।
তুলসী: তুলসী গাছ কমবেশি প্রত্যেকেরই বাড়িতে দেখা যায়। পুজোয় ব্যাবহার ছাড়াও তুলসীর রয়েছে অসামান্য ঔষুধি গুণাগুণ। এতে পাওয়া যায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ। এটি আমাদের হজমে সহায়তা করে, প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং মেটাবোলিজম বৃদ্ধি করে। স্ট্রেস কমায়। তুলসী পাতা খাবার পরিবেশনে ব্যবহার করতে পারেন এছাড়া পানীয়তে মিশিয়ে পান করতে পারেন।
স্টেভিয়া বা মিষ্টি তুলসী: এই গাছের পাতা চিনির থেকেও মিষ্টি। তাই ডিয়াবেটিক রোগীরা এটিকে চিনির পরিবর্তে ব্যবহার করতে পারেন। এই পাতার রস খাবারে বা পানীয়তে মিশিয়ে চিনির পরিবর্তে খান।
রসুন: রসুন আমাদের হজমে সহায়তা করে। ব্লাড প্রেসার, কোলেস্টরল এর পরিমাণ সঠিক রাখতে সাহায্য করে। এটি কাঁচা এবং রান্না করে দুভাবেই খাওয়া যায়।
পুদিনা: পুদিনাতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুন যা আপনার হমজে সহায়তা করবে। মাথা যন্ত্রণা এবং অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়া পুদিনা আমাদের মুখের দুর্গন্ধ দূর করে। পুদিনা পাতা চায়ে দিয়ে পান করতে পারেন, রান্নায় ব্যবহার করতে পারেন, পুদিনা এসেনশিয়াল অয়েল ও ব্যবহার করতে পারেন।
এইসকল গাছের পাতা ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই পরিষ্কার করে ধুয়ে তবেই ব্যবহার করবেন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.