কালবৈশাখীতে লন্ডভন্ড বিভিন্ন জায়গায়
এদিন রাজ্যে প্রথম কালবৈশাখী হল। আর তাতে লন্ডভন্ড বিভিন্ন জায়গা। কালবৈশাখীর প্রথম আঘাত আসে বোলপুরে। প্রবল ঝড়ে রাস্তায় উপড়ে পড়ে গাছ। বন্ধ হয়ে যায় রাস্তা। শহরের বিভিন্ন অংশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। গাছ ভেঙে পড়ে বেশ কিছু দোকানের পাশাপাশি কয়েকটি টোটোরও ক্ষতি হয়। পুরো শহর বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। পাশাপাশি বেশ কয়েকজনের আহত হওয়ার খবরও পাওয়া গিয়েছে।
আবহাওয়া দফতরের সতর্কবার্তা
এদিন দুপুর থেকে বিকেলে কালবৈশাখী নিয়ে আবহাওয়া দফতরের তরফে একাধিক সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। প্রথম সতর্কবার্তায় বলা হয় বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদে বিকেল সাড়ে তিনটের পর থেকে তিন ঘন্টার মধ্যে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ৩০ থেকে ৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
পরের সতর্কবার্তায় বলা হয় বিকেল চারটে থেকে তিন ঘন্টার মধ্যে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান এবং নদিয়া জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ৩০ থেকে ৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। অপর একটি সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, বেলা সাড়ে চারটে থেকে তিন ঘন্টার মধ্যে বাঁকুড়া জেলা বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ৩০ থেকে ৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
অপর একটি সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে বিকেল সাড়ে পাঁচটা থেকে তিন ঘন্টার মধ্যে হুগলি ও উত্তর ২৪ পরগনায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ৩০ থেকে ৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
পরে কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার জন্যও একই ধরনের সতর্কবার্তা জারি করে আবহাওয়া দফতর।
পাঁকা বাড়িতে আশ্রয় নিতে অনুরোধ
আবহাওয়া দফতের তরফে সাধারণ মানুষকে অনুরোধ করা হয়েছে, ঝড়ের সময় যেন তাঁরা বাইরে না ঘুরে পাঁকা বাড়ির তলায় আশ্রয় নেন।
উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা( ডিগ্রি সেলসিয়াস)
আসানসোল ৩৮.৫
বালুরঘাট ৩৪.৬
বাঁকুড়া ৩৮.৫
ব্যারাকপুর ৩৬.৪
বহরমপুর ৩৬.২
বর্ধমান ৩৯.৪
ক্যানিং ৩৬.৬
কোচবিহার ৩৪.৪
দার্জিলিং ২১
দিঘা ৩৪.৬
কলকাতা ৩৬.৯
মালদহ ৩৭.৩
পানাগড় ৩৮.১
পুরুলিয়া ৩৮.৩
শিলিগুড়ি ৩৪.৪
শ্রীনিকেতন ৩৬.৬