গুয়াহাটি: ক্রমেই বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। গোটা দেশের সংক্রমণের বেশিভাগটাই দায়ী মহারাষ্ট্র তা বলাই বাহুল্য। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কর্ণাটক, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাটের সংক্রমণ। এবার অসম সরকার মুম্বই এবং বেঙ্গালুরু থেকে অসমে আগত সমস্ত বিমান যাত্রীদের জন্য জারি করলো বিশেষ নির্দেশিকা। মুম্বই এবং বেঙ্গালুরু থেকে অসমে আগত বিমান যাত্রীদের এবার করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট দেখাতে হবে। ৯ই এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে এই নির্দেশিকা।
অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোওয়াল কর্তৃক জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, অসমমের যেকোনো বিমানবন্দরে মুম্বই ও বেঙ্গালুরু থেকে আগত প্রত্যেক যাত্রীকে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট দেখাতে হবে এবং সেই রিপোর্ট ৭২ ঘন্টার মধ্যে করাতে হবে তবেই গ্রাহ্য হবে। এবং এটি ৯ই এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হিসাবে অনুযায়ী, মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড়, কর্ণাটক, দিল্লি, তামিলনাড়ু, উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ এবং গুজরাট সহ আটটি রাজ্যে ৮০.৯০ শতাংশ সংক্রমণ হয়েছে। মহারাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড সংখ্যক আক্রান্ত হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে শনিবার পর্যন্ত এই রাজ্য়ে ৪৯ হাজার ৪৪৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এখনও পর্যন্ত এই সংখ্যা রাজ্যে সর্বোচ্চ।শনিবার এই রাজ্যে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২৭৭ জনের। মৃত্যু হার দাঁড়িয়েছে ১.৮৮ শতাংশে। মহারাষ্ট্রে বর্তমানে ২১ লক্ষ ৫৭ হাজার ১৩৫ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। ইনস্টিটিউশনাল কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১৮ হাজার ৯৯৪ জন। শনিবার রাজ্যে অ্যাক্টিভ মামলার সংখ্যা ৪ লক্ষ ১ হাজার ১৭২।
উল্লেখ্য,দেশে ২৪ ঘণ্টায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৯৩ হাজার ২৪৯ জন।যা আগের দিনের থেকে কয়েক হাজার বেশি।ফলে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ২৪ লাখ ৮৫ হাজার ৫০৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা ৫১৩ জন। যা গত বছর ডিসেম্বর মাসের রেকর্ডকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন ৬০ হাজার ৪৮ জন। যা দৈনিক আক্রান্তের থেকে অনেকটাই কম। যার ফলে দেশের মোট অ্যাকটিভ কেস একধাক্কায় বেড়ে দাঁড়াল ৬ লক্ষ ৯১ হাজার ৫৯৭ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ১৬ লক্ষ ২৯ হাজার ২৮৯ জন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.